"রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪ ইংরেজি সংস্করণে এটা আমাদের ব্লগ এ লেখা আছে। নীচে তারই বাংলা সংস্করণ দেওয়া হল।"
|| পশু এবং পশুপতি ||
পশু [প্রাণী] এবং পশুপতি [প্রভু]।
জন্ম থেকেই আমরা নিজেদের মধ্যে পশু এবং পশুপতি উভয়ই বহন করি। মানব-প্রাণী। খারাপ শোনালেও, প্রাণী বা পশু সমার্থক। কিন্তু অন্যদের থেকে আলাদা। এর মধ্যে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, উন্মাদনা আবার আত্মনিগ্রহনীতি এবং পরার্থপরতা যা অন্যান্য সাধারণ প্রাণীদের মধ্যে নেই।
আমাদের আত্মা-শক্তির জটিল অবস্থার (Soul- Energy Complex) তিনটি স্তর রয়েছে। 1. তম 2. রজ 3. সত্ত্ব। তাই পশুর তিনটি স্তর আমাদের মধ্যে রয়েছে। তম তে মানব পশু বিকৃতের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ,ড্রাগ, ইত্যাদিতে কুলুষিত। রজ তে মানুষ লোভ, ক্রোধ, লালসা ও সম্মানের জন্য পাগল। সত্ত্বতে এর অত্যাধিক প্রদর্শনী বৃত্তি ও অহংকার আছে। [এগুলি এই পশুদের গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃত্তি। কিন্তু সকলেরই নয়।] সর্বোপরি একটি ঐশ্বরিক পশুও আমাদের মধ্যে রয়েছে। দৈনিক চক্রের চারপাশে তারা বিনিময়যোগ্য। তাই শরীর সবকিছু অনুভব করতে পারে এবং কেউ কেউ তাদের জীবনে মাধ্যমে তা অনুভব করতে পারে না। এই অনুভূতি আবার এক প্রকার যাত্রা[আত্মার যাত্রা]। এবং নিজেকে একটি ঐশ্বরিক পশুতে প্রতিষ্ঠিত করাই গন্তব্য। যেখানে পশুপতি আবির্ভূত হন। এটিই আধ্যাত্মিক জীবনের মূল উদ্দেশ্য।
সকালে সত্ত্ব, দিনে রজ এবং রাতে তম পশু আবির্ভূত হওয়া উচিৎ। বাস্তবে তা ঘটছে। না। এখন মানুষের এই তম ও রজ রূপটিই বেশী প্রকাশিত। যত সহজে রাজসিক ও তামসিক হওয়া যায়, সাত্ত্বিক ও ঐশ্বরিক তত সহজে হওয়া যায় না।
1/2/3/4/5/6/7 বার নিয়মিত নিজেকে প্রত্যাহার করা/ সবন/প্রার্থনা/ধ্যান/জপ/শরণ করা, এগুলি প্রতিদিন করা আবশ্যক। সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ধর্ম/গুরুর উপদেশ/ শ্রীগুরু /সম্ভাবনা এবং ক্ষমতা এই সব অনুসরণ করে জীবনকে ছন্দময় করে তোলা, যোগের মাধ্যমে শারীরিক পরিবর্তনে সাহায্য করা, পরিষ্কার জলে সাধারণ স্নান এবং পবিত্রতা হল তমপশু র শেষ বিন্দু।
প্রার্থনা, পূজা, উপবাস, হোম/যজ্ঞ, প্রাণায়াম হল রজ পশুর শেষ বিন্দু।
প্রতিটি প্রশ্বাসে বীজ মন্ত্রের অবিরল অভ্যন্তরীণ জপ এবং গুরু কৃপা হল সত্ত্ব পশুর শেষ বিন্দু।
করুণা এবং করুণার সমান এবং নিরপেক্ষ দান হল ঐশ্বরিক পশুর শেষ বিন্দু।
পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা এই নর-পশুর[মানব-প্রাণী] জন্যই উদ্ভূত হচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষ নিয়মিত অনুশীলনে এই পশুত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এইভাবে আমরা এই সমস্ত পশুত্ব এবং অনেক রোগ থেকেও মুক্তি পেতে পারি।
No comments:
Post a Comment