Translate

Showing posts with label ধার্মিক. Show all posts
Showing posts with label ধার্মিক. Show all posts

Saturday, October 18, 2025

আলো, শক্তি ও মা কালী: ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আধ্যাত্মিক দৃষ্টি

 



 

কালীপুজোর রাতে বাংলার ঘর, উঠোন, বারান্দা, পথঘাট থেকে শ্মশান পর্যন্ত প্রদীপের আলোয় ঝলমল করে ওঠে। অনেকেই এটাকে শুধু উৎসবের সাজ বা অমাবস্যার আলো বলে মনে করেন, কিন্তু এই প্রদীপজ্বালানোর রীতির জড় roots রয়েছে প্রাচীন শাক্তধর্ম, গ্রামীণ লোকবিশ্বাস, পূর্বপুরুষ আর তন্ত্রসাধনার সঙ্গে। এই আলো কেবল অন্ধকার ভাঙে না, বরং দেবীর আহ্বান, অশুভশক্তি নিবারণ, জীবনীশক্তি রক্ষা এবং শক্তির অভিষেকের প্রতীক।

 

উৎস: অন্ধকার থেকে শক্তির আহ্বান

কালীপুজো হয় কার্তিক অমাবস্যায়—যে রাতে আকাশে একফোঁটা চাঁদের আলোও থাকে না। প্রাচীন শাস্ত্রে বলা আছে, “অন্ধকারই শক্তির অগ্নিপথ”, তাই সেই রাতে আলো জ্বালিয়ে শক্তির আগমনকে স্বাগত জানানোর প্রচলন গড়ে ওঠে। গ্রামবাংলায় বিশ্বাস ছিল, কার্তিকের অমাবস্যায় অশরীরী শক্তি, ভূতপ্রেত আর দুর্ভাগ্যের ছায়া নেমে আসে। তাই বাড়ির চার কোণে, দরজার সামনে, তুলসীতলার পাশে কাঁচা প্রদীপ জ্বালিয়ে অশুভ শক্তিকে দূরে রাখা হত।

 

তন্ত্র ও প্রদীপ: শক্তির আসন প্রস্তুতি

তান্ত্রিক পূজায় আগুনকে ধরা হয় জীবন্ত মাধ্যম—‘অগ্নি দেবীশক্তির মুখ’। তাই আগে ঘরে যে প্রদীপ জ্বলত, তা ছিল কালীকে ডাকার এক আধ্যাত্মিক ডাক। শাস্ত্রে বলা আছে, মা কালী থাকেন দিকদিগন্তের অন্ধকারে, তাই আলো দিয়ে তাঁর পথ তৈরি করা হয়। অনেক তান্ত্রিক সাধক প্রদীপের শিখায় ধ্যান করতেন, এবং শিখাকে দেবীর জিভ, কেশ, বা চক্ষুর প্রতীক মানতেন। প্রদীপ জ্বালানো মানে পূজার মঞ্চে শক্তির আগমন ঘটানো।

 

সরষের তেলের প্রদীপ ও গ্রামীণ ঐতিহ্য

বাংলায় ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর সঙ্গে সরষের তেলের যোগ সবচেয়ে গভীর। বিশ্বাস ছিল, সরষে তেল অশুভ শক্তিকে পুড়িয়ে দেয়। গ্রামে গৃহবধূরা সন্ধ্যায় উঠোনে, গোয়ালের পাশে, বারান্দায় এবং বট বা নিমগাছের নিচে প্রদীপ জ্বালাতেন, যাতে মা কালী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেন। অনেক পরিবার আজও অঘোরী তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে কালীকে সন্তুষ্ট করার রীতি বজায় রেখেছে।

 

পূর্বপুরুষের আত্মা ও ভূতচতুর্দশীর সংযোগ

কালীপুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশী। এই রাতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষের আত্মাকে শান্ত ও সন্তুষ্ট করার এক আদি প্রথা প্রচলিত। ধারণা ছিল, অমাবস্যার অন্ধকারে পিতৃপুরুষেরা ভাসতে থাকেন এবং আলো দেখে তারা পথ খুঁজে পান। তাই বারান্দা, সিঁড়ি, চাতাল, উঠোনে প্রদীপ রেখে পূর্বপুরুষকে আহ্বান ও আশীর্বাদ চাওয়া হত। এই বিশ্বাস থেকেই পরের দিনে কালী আরাধনার প্রদীপের সংস্কৃতি আরও গভীর হয়।

 

দরজা, জানালা ও ছাদে আলো: দেবীর পথপ্রদর্শন

গ্রামবাংলার বহু অঞ্চলে বিশ্বাস ছিল, দেবী কালরাত্রিতে আকাশপথে চলেন। তাই ছাদে, গাছের মাথায় বা বাঁশের উপর প্রদীপ বেঁধে আলো তুলে ধরা হত। একে বলা হত “আকাশবাতি” বা “দীপালোক”। আবার বাড়ির দিকনির্দেশে প্রদীপ রাখাকে ধরা হত কালী ও লক্ষ্মী দুই দেবীর পথপ্রদর্শন হিসেবে। কারণ এই রাতেই কিছু অঞ্চলে দুয়োকেই একসঙ্গে আহ্বান করা হয়।

 

অশরীরী শক্তি প্রতিরোধে প্রদীপের ভূমিকা

লোকবিশ্বাস ছিল, অমাবস্যায় ‘দুষ্ট আত্মা, শাকচুন্নি, ডাইনিবেগুনির’ আসর বেশি থাকে। প্রদীপের আগুনে আগুনদেবতা অশুভ শক্তিকে পুড়িয়ে নষ্ট করেন—এই ধারণা থেকেই ঘরের চারকোণে, পুকুরঘাটে ও উঠোনে প্রদীপ রাখা হত। আগুন মানে জীবন, আলোক, রক্ষা ও শক্তির উপস্থিতি।

 

কালীপুজোর প্রদীপজ্বালানো কোনো সাজসজ্জার অংশ নয়—এটি প্রাচীন আচার, তান্ত্রিক আহ্বান, পূর্বপুরুষ স্মৃতি, অশুভনাশ ও দেবীর শক্তির আলোক প্রতিষ্ঠা। ঘরে ঘরে প্রদীপ মানে একদিকে দেবীকে স্বাগত, অন্যদিকে নিজস্ব ভয়, অন্ধকার, মৃত্যুচিন্তা ও দুর্ভাগ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।
আজ আলোর ঝলকানিতে অনেকেই এর মূল তাৎপর্য ভুলে গেছেন, কিন্তু বাংলার প্রদীপসন্ধ্যা এখনো বহন করে এক গভীর আত্মিক ইতিহাস—যেখানে প্রতিটি শিখা হল শক্তির চোখ, রক্ষার বলয় এবং আলোকের শপথ।

Saturday, October 4, 2025

লক্ষীপূজায় অন্নপূর্ণা ও ধনলক্ষ্মীর পার্থক্য — লোকবিশ্বাস বনাম পুরাণদৃষ্টি


লক্ষীপূজা মানেই সমৃদ্ধি, শুভ সময়, আলো এবং শান্তির আহ্বান। কিন্তু বাংলার লোকবিশ্বাস ও পুরাণদৃষ্টিতে লক্ষ্মীর একাধিক রূপের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে অন্নপূর্ণা ও ধনলক্ষ্মী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একজন খাদ্যের দেবী, অন্যজন ধনসম্ভারের অধিষ্ঠাত্রী। কিন্তু গ্রামীণ সংস্কৃতি, পৌরাণিক ব্যাখ্যা এবং আধুনিক পারিবারিক মানসিকতায় এই দু’টি রূপের মধ্যে নানা সূক্ষ্ম পার্থক্য ও মিল ধরা পড়ে। সেই দৃষ্টিতেই এখানে বিশ্লেষণ করা হলো।

পুরাণে ধনলক্ষ্মীর অবস্থান
ঋগ্বেদ, পদ্মপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে লক্ষ্মীকে মূলত ধন, সৌভাগ্য ও ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে দেখানো হয়। সমুদ্র মন্থনের ফলেই তাঁর আবির্ভাব, তাই তাঁকে ও ‘সমুদ্রকন্যা’ বলা হয়। বিষ্ণুর বক্ষলোকে তাঁর অবস্থান এবং স্বর্ণপদ্মে আসীন রূপ মহালক্ষ্মী নামে পরিচিত। গৃহস্থের ধনসম্পদ, ব্যবসার উন্নতি, গহনা, শস্যভান্ডার এবং ঐশ্বর্য তাঁর আধিপত্যক্ষেত্র। লক্ষীপূজার দিনে ধনলক্ষ্মীর আরাধনাকে অধিকাংশ শহুরে ও ব্যাবসায়িক পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরে।

অন্নপূর্ণার ধারণা ও বৈদিক তাৎপর্য
অন্নপূর্ণা সাধারণভাবে পার্বতীর এক রূপ হিসেবে পূজিত হলেও, বাংলার ঘরোয়া সংস্কৃতিতে তাঁকে ‘অন্নলক্ষ্মী’ বা ‘গৃহলক্ষ্মী’ হিসেবেও দেখা হয়। স্কন্দ পুরাণ ও দেবী ভাগবত পুরাণে বলা আছে, অন্নপূর্ণা কেবল অন্নের যোগানদাত্রী নন, তিনি জীবনধারণের মূল ভিত্তি। শস্য, ধান, শাকসবজি, গোমাতা, জল ও প্রাচুর্য তাঁর অধীন। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ বাংলায় লক্ষ্মীর চেয়ে অন্নপূর্ণার গুরুত্ব কখনো কখনো বেশি বলে বিবেচিত হয়।

লোকবিশ্বাসে দুই দেবীর পৃথক পরিচয়
লোককথা ও দৈনন্দিন প্রবাদে বলা হয়— “যেখানে ধনলক্ষ্মী আসেন, সেখানে অন্নপূর্ণাও থাকতে হবে।” আবার “অন্নপূর্ণা রুষ্ট হলে শস্যহানি, ধনলক্ষ্মী রুষ্ট হলে আর্থিক সংকট”— এ ধরনের বিশ্বাসও প্রচলিত। গ্রামীণ বাংলার অনেক পরিবার লক্ষীপূজার সঙ্গে ‘নবান্ন’ রীতি মিলিয়ে একটি দিন অন্নপূর্ণার উদ্দেশ্যে মানত দেয়। শহুরে পূজায় মন্ত্রপাঠে ধনলক্ষ্মী বেশি গুরুত্ব পেলেও গ্রামে চাল, ধান, কলস, শস্যদানাকে কেন্দ্র করে অন্নপূর্ণার পূজা বেশি সমাদৃত।

গৃহলক্ষ্মী ধারণা এবং পারিবারিক সমান্তরালতা
অনেক ঘরে বউ বা নববধূকে ‘গৃহলক্ষ্মী’ বলা হয়, যেখানে উভয় ধারণাই মিলেমিশে আছে—অন্নপূর্ণার অন্নরক্ষা এবং ধনলক্ষ্মীর সমৃদ্ধি। সংসারের প্রবাহ চালানোর জন্য যেমন টাকার প্রয়োজন, তেমনই দরকার খাদ্য ও ভান্ডার। এ কারণে লোকসংস্কৃতিতে বলা হয়, “অন্নপূর্ণা থাকলে ধনলক্ষ্মীর আগমন নিশ্চিত।”

আর্থিক সমৃদ্ধি বনাম খাদ্যনির্ভরতা — আধুনিক বাস্তবতা
শহরে ধনসম্পদ ও ব্যবসার বৃদ্ধি লক্ষীপূজার মূলচিন্তা হলেও, গ্রামে ফসলভিত্তিক জীবনযাত্রা এখনও অন্নপূর্ণার প্রতিই বেশি নির্ভরশীল। গবেষণায় দেখা গেছে, যে অঞ্চলে কৃষিজীবীর সংখ্যা বেশি সেখানে চাল, তিল, সরষে, ধানের গাদা, কলাপাতা ও তালপাতা দিয়ে অন্নলক্ষ্মীর আরাধনা হয়। অন্যদিকে ব্যবসাকেন্দ্রিক অঞ্চলে ধনলক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে লক্ষ্যনীয়ভাবে দেনাপাওনা, হিসেবপত্র, সোনাদানা, ব্যবসার খাতা প্রার্থনার অংশ।

অন্নপূর্ণা ও ধনলক্ষ্মীকে অনেক সময় একই দেবীর দুই দিক বলে মানা হয়, আবার অনেক পরিবারে তাঁদের পৃথক প্রভাবও দেখা যায়। একজনে খাদ্য ও জীবনের নিশ্চয়তা দেন, অন্যজনে আর্থিক স্থিতি ও ভাগ্যসম্পদ আনেন। পুরাণে তাঁদের রূপ আলাদা হলেও লোকসংস্কৃতিতে তাঁরা একে অপরের পরিপূরক। লক্ষীপূজার আসল ভিত্তিও সেখানেই—অন্ন ও ধন, সংসার ও সাধনা, আস্থা ও আরাধনা মিলিয়ে জীবনের সম্পূর্ণতা অর্জন করা।

Wednesday, August 6, 2025

🕉️ শ্রাবণ মাসে শিবপূজার মাহাত্ম্য ও তার পেছনের পৌরাণিক কাহিনি





হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসকে বলা হয় "শিবের মাস"। এই পবিত্র মাসজুড়ে ভক্তরা শিবের উপাসনা, উপবাস এবং নানা পূজা-অর্চনায় ব্যস্ত থাকেন। বিশেষ করে সোমবার দিনটি শ্রাবণ মাসে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ, যেদিন "শ্রাবণ সোমবার ব্রত" পালন করা হয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই মাসে ভগবান শিবকে তুষ্ট করলে জীবনের দুঃখ, কষ্ট ও সংকট দূর হয়। এই বিশ্বাস শুধু ধর্মীয় নয়, এর পেছনে আছে গভীর পৌরাণিক কাহিনি।



শিবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রাবণ মাসে পূজার কারণ:

ভগবান শিব হলেন সৃষ্টির ধ্বংস ও পুনর্জন্মের দেবতা। তিনি আশির্বাদে প্রসন্ন, আর রুষ্ট হলে কঠিন। তিনি শুধু তপস্বী নন, সর্বসাধারণের দেবতা — "আদিদেব" বা "ভোলানাথ"।

শ্রাবণ মাসে শিবপূজার মূল উৎস সমুদ্র মন্থনের ঘটনা, যা বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন পুরাণে, বিশেষ করে শিবপুরাণ ও ভাগবত পুরাণে।




পৌরাণিক কাহিনি: সমুদ্র মন্থন ও হলাহল বিষ

স্বর্গে দেবতারা এবং অসুরেরা যখন অমৃত লাভের জন্য সমুদ্র মন্থন শুরু করে, তখন সমুদ্র থেকে অনেক মূল্যবান বস্তু উঠে আসে — যেমন কামধেনু, ঐরাবত, লক্ষ্মী, চন্দ্র ইত্যাদি। কিন্তু সেইসঙ্গে উঠে আসে এক ভয়ঙ্কর বিষ — হালাহল।

এই হলাহল বিষ এতটাই বিষাক্ত ছিল যে, তা গোটা সৃষ্টি ধ্বংস করে দিতে পারত।

• তখন ভগবান শিব সব দেবতার আর্তি শুনে বিষ গ্রহণ করেন।

• তিনি সেই বিষ গলায় ধরে রাখেন, যাতে তা পাকস্থলীতে না পৌঁছায় ও তাঁর শরীরও ধ্বংস না হয়।

• বিষ ধারণের ফলে তাঁর গলা নীল হয়ে যায় — তাই তিনি পরিচিত হন "নীলকণ্ঠ" নামে।

• এই ঘটনার সময়কাল ধরা হয় শ্রাবণ মাস — তাই এই মাসে শিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শুরু হয় তাঁর পূজা।




শিবপূজার মাহাত্ম্য:

1. বিষগ্রহণের প্রতীক:
শিব তাঁর নিজের কষ্টে গোটা জগতকে রক্ষা করেছেন — তাই তিনি ত্যাগের প্রতীক।


2. আশীর্বাদদাতা ও ভক্তবৎসল:
শিব সহজে তুষ্ট হন, তাই তাঁকে বলা হয় "আশুতোষ"। ভক্তের অন্তরের সত্যতায় তিনি সন্তুষ্ট হন, বড় আয়োজনের প্রয়োজন হয় না।


3. সাধারণ মানুষের দেবতা:
শিব সাদাসিধে জীবনযাপন করেন — পশাকুলা বসন, মাথায় জটা, গলায় সাপ, হাতে ত্রিশূল — তিনি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি।


4. দাম্পত্য ও শুভমঙ্গল কামনার প্রতীক:
পার্বতীকে বহু তপস্যার পর পেয়েছিলেন, তাই কুমারী মেয়েরা ভালো বর পাওয়ার আশায় শ্রাবণ মাসে শিবপূজা করেন।





শ্রাবণ মাসে পূজার আচার ও রীতি:

প্রতিদিন শিবলিঙ্গে জল, দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি নিবেদন

বেলপাতা, ধুতরা, আকাশবেল ফুল নিবেদন করা

“ওঁ নমঃ শিবায়” বা “মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র” জপ করা

সোমবার উপবাস রাখা — এক বেলার আহার, নিরামিষ খাবার

শিবচতুর্দশী, নাগপঞ্চমী, এবং রুদ্রাভিষেক আয়োজন করা



সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:

নারীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায় এই মাসে — তারা বিশেষভাবে সেজে, উপবাস করে, পূজা দেয়।

শ্রাবণী মেলা, কांवাড় যাত্রা ইত্যাদিও এই মাসের একটি অংশ।

অনেকেই বিশ্বাস করেন, শিবপূজা করলে জীবনে ধৈর্য, ক্ষমা ও ত্যাগের গুণাবলি বৃদ্ধি পায়।





শ্রাবণ মাসে শিবপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি এক মানবিক বার্তা বহন করে — আত্মত্যাগ, সহনশীলতা, এবং সকলের কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার প্রেরণা দেয়।
ভগবান শিব যেমন বিষ নিজের মধ্যে রেখে জগতকে রক্ষা করেছেন, তেমনি আমাদেরও জীবন হতে হবে সহিষ্ণু ও আত্মত্যাগে পরিপূর্ণ। শ্রাবণ মাস তাই কেবল শিবের মাস নয় — এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, উপবাস, পবিত্রতা এবং ভক্তির এক অনন্য সময়।

Featured Posts

সখারাম গণেশ পণ্ডিত: এক ভারতীয় যিনি আমেরিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ইতিহাস লিখেছিলেন

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যখন আমাদের দেশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছিল, তখন এক ভারতীয় যুবক হাজার মাইল দূরে আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের...

Popular Posts