Translate

Thursday, June 1, 2023

৹ || Indology - আসন্ন দিনে স্বর্গীয় পৃথিবীর জন্য একটি বিষয় || ৹

 




" ৪ ঠা মার্চ, ২০১০ ইংরেজি সংস্করণে এটা আমাদের এই ব্লগ এ লেখা আছে। নীচে তারই বাংলা সংস্করণ দেওয়া হল।"

শ্রী ভগবত গীতা এবং বেদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলছেন জীবনের বৈদিক পথ অনুসরণ না করতে, এটি প্রত্যাশায় পূর্ণ, স্বর্গ (স্বর্গীয় সুখ), কারণ এটি নিরর্থক।  তাঁর উপদেশ হল - তাঁকে অনুসরণ করা , সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা, তাঁর শরণ নেওয়া। সমস্ত দ্বান্দ্বিকতার ঊর্ধ্বে এটিই চিরন্তন আনন্দের পথ।
 এখন আমরা কোথায়?  এটা স্পষ্ট যে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের যুগ থেকেই এই ধারণা সমগ্র ভারতে নিহিত ছিল। পরবর্তীতে ভারতে বিভিন্ন ধর্মের বিকাশ ঘটেছে;  জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম...... ইসলাম এবং ইশাইজমের (খ্রিস্টান) মত অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি সহ বিভিন্ন রাজবংশ দিয়ে শাসিত হয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ মৌলিক ধারণা একই রকম...... তাই, আমরা একে বলতে পারি.....  .  শ্রী কৃষ্ণের পরবর্তী সময়কাল।  যার শেষটি তীক্ষ্ণভাবে ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণের কালের সাথে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা একে যুগ বলতে পারি।  এটা ছিল কলিযুগ।
এখন আমরা সত্যযুগে আছি।  
এটা সমমনা গোষ্ঠীর সমস্ত মানবজাতির মধ্যে আন্তঃসংযোগের  যুগ।
এটা জ্ঞান বিনিময়ের সময়।‌ উচ্চ বুদ্ধিমত্তার বিবর্তনের সময়।  
এক নতুন মানব প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে। এই শ্রেণীটি স্পষ্টতই একটি পার্থিব সম্প্রদায় যা জাতি/ক্ষেত্র/দেশ/ধর্ম/ভাষা/অর্থ শক্তি/পেশী শক্তি/যেকোনো পার্থিব জিনিসের মধ্যে আবদ্ধ নয়।  
এটি বিবর্তন.......প্রকৃতি থেকে একটি নির্বাচন......একটি স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
ফুলের কুঁড়ির মতো....সারা বিশ্ব জুড়ে।  
তাদের সাম্য-পুনরাবৃত্তি তাদের একত্রিত করবে...... তাদের চিন্তার আদান-প্রদান, বিশ্বের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, প্রকৃতির প্রতি তাদের সেবা পৃথিবী এবং মানবজাতির জন্য কল্যাণকর কাজ ...... এই সবই তাদের একত্রিত করছে।  ......এই বিবর্তন জিনগত।
 সারা বিশ্বের সুপারমাইন্ডেড প্রজাতির কিছু মহা মানুষের প্রভাবে এটি এই যুগের ফলাফল।
  .....নতুন যুগ মানে এই নয় যে পুরোনোদের নির্বাসিত/সমাপ্ত করা হয়েছে ; সবকিছুই অক্ষত। তবে এখন একটা তাগিদ, অন্য কিছুর প্রতি ঝোঁক স্পষ্ট। ......আর একটা  স্পষ্ট বিষয় হল স্বর্গের (স্বর্গ) সুখের প্রতি অনুরাগ।

 বেদে জীবনের লক্ষ্য হল চতুর্বর্গ। ধর্ম (নীতি, আচার), অর্থ (অর্থ, সম্পর্ক), কাম (সামাজিকভাবে স্বীকৃত ইচ্ছা, প্রজাতির ধারাবাহিকতার জন্য প্রজনন) মোক্ষ (ত্যাগ, আত্মজ্ঞান, জীবন্মুক্তি।)
সব যুগের জন্য এটাই জীবনের লক্ষ্য।  

কিন্তু কৃ্ষ্ণত্তোর যুগে জোর দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র তপস্যা , শরণ ও বিচক্ষণতার দিকে।

 এখন মানুষ চায় চতুর্বর্গ। শক্তি (দুর্গা, কালী,‌ইত্যাদি), শিব, গনেশ ইত্যাদি এজন্যই পূজা করে।
অহিংস‌ ও দীনতার ভাব অনেক উঁচুতে। কিন্তু জগত আজ শুধু এটিই চায় না।
 নিশ্চয়ই এই  বৈষ্ণব বিচার ও আত্ম নিয়ন্ত্রণের অন্তর্নিহিততা আমরা অর্জন করেছি/আমরা গ্রহণ করেছি/আমরা স্বীকার করছি.......কিন্তু  আজ লক্ষ্য ভিন্ন, চতুর্বর্গ।

শ্রী রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়।

No comments:

Featured Posts

Basic Instinct in Vedic Age

'VEDIC SOBON' : The Discovery of 'SriDoctor', Dr Rajatsubhra Mukhopadhyay,- A New Contribution to the INDOLOGICAL RESEARCH...

Popular Posts