Translate

Showing posts with label BireswaraNanda. Show all posts
Showing posts with label BireswaraNanda. Show all posts

Saturday, January 22, 2022

Ego or Ahamkar and Swami BireswaraNandaJi's very useful Advice.

 প্রশ্ন : মহারাজ, আমাদের জীবনে আমরা নানারকম কাজ করি ৷ তাহলে আমাদের অহংকার হ্রাস বা বৃদ্ধির পরীক্ষাটা কি ? কিভাবে জানব ?


বীরেশ্বরানন্দ মহারাজ : আত্মসমীক্ষা দ্বারা ৷ কেউ যদি তোমার সমালোচনা করে তুমি সঙ্গে সঙ্গে রেগে যাও, কেউ প্রশংসা করলে উল্লসিত হও ৷ এগুলো দেখাচ্ছে যে, তোমার অহংকার আছে ৷ তুমি মনের সাম্যভাব বজায় রেখে কিছু করতে সক্ষম নও ৷ কেউ এসে যদি তোমার কাজের অনধিকার চর্চা করে, তোমার মেজাজ বিগড়ে যায় ৷ 


দেখ, বিজ্ঞান মহারাজ একবার বলেছিলেন : "কেউ যদি তোমার পা মাড়িয়ে দেয়, তাহলে সরে দাঁড়াও এবং তাঁর জন্য জায়গা করে দাও ৷" তাকে ঠেলে দিয়ে জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই, "কেন তুমি আমার পা মাড়ালে ? বরং নিজেকে সরিয়ে নাও ; সরে যাও এবং তাঁর জন্য জায়গা করে দাও ।"


অনুরূপভাবে, কাজের ক্ষেত্রেও একইরকম ৷ কেউ তোমার কাজে নাক গলালো এবং ওই কাজের জন্য বাহাদুরি নিতে চাইল, তুমি সেই কাজ এবং তার কৃতিত্ব তার জন্য ছেড়ে দাও ৷ তাকে এটা করতে দাও, কারণ, যেভাবেই হোক ঠাকুরের কাজ নিষ্পন্ন হতে হবে ৷ সেটা তুমি করলে, কি সে করল এবং সে বাহাদুরি নিল — ওটা কোন ব্যাপার নয় ৷ এইভাবে, আত্মসমীক্ষার দ্বারা তুমি তোমার দোষ-ত্রুটি খুঁজে পাবে ৷


রাজা মহারাজ আমাদের উপদেশ দিয়েছিলেন — প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের সারাদিনের কাজগুলোকে পুনর্বিচার করতে ৷ আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে কতটা সময় নিজের আরামের জন্য এবং কতটা সময় সেবাকাজে ব্যয়িত হলো ৷ যদি সেখানে কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকে, আমরা অবশ্যই সেগুলো সংশোধন করব এবং পরের দিনের জন্য নতুন প্রতিজ্ঞা করব ৷ (সংগৃহীত).




Featured Posts

রামকিঙ্কর বেইজ - আধুনিক ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শক  রামকিঙ্কর বেইজ ছিলেন একজন ভারতীয় ভাস্কর এবং চিত্রশিল্পী, আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শকদের একজন এবং প্রাসঙ্গিক আধুনিকতাবাদের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব।  বেইজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অর্থনৈতিকভাবে বিনয়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  কিশোর বয়সে রামকিঙ্কর ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে জড়িত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিকৃতি আঁকতেন।  16 বছর বয়সে তিনি প্রখ্যাত সাংবাদিক রামানন্দ চ্যাটার্জির নজরে পড়েন। চার বছর পর রামকিঙ্কর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার ছাত্র হিসেবে যোগ দেন।  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা অর্জনের পর তিনি ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান হন।  রামকিঙ্করের বিখ্যাত ভাস্কর্য শিষ্যদের মধ্যে রয়েছে প্রভাস সেন, শঙ্খো চৌধুরী, অবতার সিং পানওয়ার, মদন ভাটনগর, ধর্মানি, বলবীর সিং কাট্ট, রাজুল ধারিয়াল এবং সুসান ঘোস একটি ছোট ছেলে হিসাবে, তিনি স্থানীয় কারিগর এবং চিত্র-নির্মাতাদের কাজের সময় দেখে বড় হয়েছিলেন;  এবং তার পথে যা আসে তা দিয়ে ছোট মাটির চিত্র এবং পেইন্টিং তৈরি করে। 1938 সালে শান্তিনিকেতনে তৈরি "সাঁওতাল পরিবার"  এটি তাকে 1925 সালে, জাতীয়তাবাদী প্রকাশক এবং নতুন ভারতীয় শিল্প আন্দোলনের জন্য রামানন্দ চ্যাটার্জির পরামর্শে শান্তিনিকেতনের আর্ট স্কুল কলা ভাবনায় তার পথ চিহ্নিত করতে পরিচালিত করেছিল।  শান্তিনিকেতনে, নন্দলাল বোসের নির্দেশনায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা আকৃতির মুক্ত বৌদ্ধিক পরিবেশের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, তাঁর শৈল্পিক দক্ষতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিগন্ত নতুন গভীরতা এবং জটিলতা অর্জন করে।  কলা ভবনে পড়াশোনা শেষ করার পর শীঘ্রই তিনি এর অনুষদের সদস্য হন এবং নন্দলাল এবং বিনোদ বিহারী মুখার্জির সাথে শান্তিনিকেতনকে স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে আধুনিক শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  তিরিশের দশকের গোড়ার দিকে তিনি ক্যাম্পাসকে একের পর এক ভাস্কর্যে ভরিয়ে দিতে শুরু করেন, যা বিষয়বস্তুতে উদ্ভাবনী এবং ব্যক্তিগত শৈলীতেও ছিল। এই ধারায় তাঁর প্রথম শ্রেষ্ঠ রচনা ছিল 1938 সালে করা সাঁওতাল পরিবার। এই বৃহত্তর জীবন ভাস্কর্যে তিনি এই অঞ্চলের উপজাতীয় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, চিত্রগুলিকে আইকনিক উপস্থিতি এবং মর্যাদাপূর্ণ অনুগ্রহ প্রদান করেছিলেন যা এখনও পর্যন্ত ঈশ্বর এবং শাসকদের চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সিমেন্ট এবং ল্যাটারাইট মর্টার ব্যবহার করে চিত্রগুলিকে মডেল করা, এবং একটি ব্যক্তিগত শৈলীর ব্যবহার যাতে আধুনিক পশ্চিমা এবং ভারতীয় প্রাক-শাস্ত্রীয় ভাস্কর্যের মূল্যবোধগুলিকে একত্রিত করা হয়েছিল।  এই মৌলিক কাজের মাধ্যমে রামকিঙ্কর নিজেকে নিঃসন্দেহে আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।  ঋত্বিক ঘটক বিচক্ষণতার সাথে বেইজের উপর 'রামকিঙ্কর' (1975) নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন যেখানে তিনি তাকে একজন রাজনৈতিক আইকন হিসেবে তুলে ধরেন।  2012 সালে ভাস্কর কে.এস.  রাধাকৃষ্ণান দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট-এ রামকিঙ্করের একটি গ্র্যান্ড রেট্রোস্পেকটিভ কিউরেট করেছেন।  রামকিঙ্কর বাইজ (বই), বিশিষ্ট শিল্প ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আর. শিব কুমারের বইটি রামকিঙ্কর বাইজের সবচেয়ে ব্যাপক গ্রন্থ বলে মনে করা হয়।   তথ্যসূত্র : Wikipedia, Google.  "(ছবি Google থেকে সংগৃহীত) পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শিল্প ইতিহাসের আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আরও লেখা এই ব্লগ নিয়মিত পাবেন। তাই নিয়মিত আমাদের ব্লগ Follow করুন।

    অযোধ্যা, রাম জন্মভূমি (প্রভু শ্রীরামের জন্মস্থান), দৈব শক্তি অনুভব করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি ঈশ্বর নিজে...

Popular Posts