Translate

Showing posts with label Swamiji. Show all posts
Showing posts with label Swamiji. Show all posts

Wednesday, January 22, 2025

সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস

'VEDIC SOBON' : The Discovery of 'SriDoctor', Dr Rajatsubhra Mukhopadhyay,- A New Contribution to the INDOLOGICAL RESEARCH. ✨✨⭐⭐⭐⭐✨✨✨ https://amzn.to/3MPWZAH ✨✨✨⭐⭐⭐⭐✨✨ Please Share This.



সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস ✨💕

ডঃ রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায় 

স্বামী বিবেকানন্দ 🙏

দার্শনিক প্রভাব:

স্বামী বিবেকানন্দের নিঃস্বার্থ সেবা, জাতীয়তাবাদ, এবং আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পর্কে শিক্ষাগুলি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বিবেকানন্দের জাগ্রত এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বসুকে দেশের স্বাধীনতাকে একটি পবিত্র মিশন হিসাবে দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

বিবেকানন্দের ভয়শূন্যতা এবং আত্মিক শক্তির উপর জোর সুভাষচন্দ্র বসুকে ভারতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে
 সাহসী এবং আপোষহীন পথ অবলম্বন করতে প্রভাবিত করেছিল।

যুব শক্তির গুরুত্ব:

"উঠ, জাগো, এবং লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত থেমো না"—বিবেকানন্দের এই আহ্বান ভারতের যুব সমাজকে পরিবর্তনের দূত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বসুকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব:

বিবেকানন্দের ধর্মীয় ঐক্য এবং সার্বজনীন ভ্রাতৃত্বের আদর্শ সুভাষচন্দ্রের ঐক্যবদ্ধ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলেছিল। তাঁর জন্য, ধর্মীয় ঐক্য ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

---

সিস্টার নিবেদিতা🙏

জাতীয়তাবাদ:

সিস্টার নিবেদিতা, স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা, ভারতের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক জাগরণের উপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর ভারতীয় ঐতিহ্যের গৌরব প্রচার সুভাষচন্দ্র বসুকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

ভারতের জন্য নিবেদিত তাঁর আত্মত্যাগের ধারণা বসুকে অনুপ্রাণিত করেছিল নিজের জীবন সম্পূর্ণভাবে দেশের জন্য উৎসর্গ করতে।

শিক্ষা এবং ক্ষমতায়ন:

সিস্টার নিবেদিতার শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর ভারতের উন্নতির জন্য বসুর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলেছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষিত এবং সচেতন জনগণই ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।

সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন:

সিস্টার নিবেদিতার ভারতীয় স্বাধীনতার জন্য সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন সুভাষচন্দ্র বসুর জন্য একটি আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা বসুকে দেশপ্রেমিক কর্মের প্রতি উৎসর্গিত হতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

---

✨⭐শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন 🙏

আধ্যাত্মিক ভিত্তি:

শ্রী রামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রামকৃষ্ণ মিশনের মূল দর্শন ছিল ধর্মীয় ঐক্য, নিঃস্বার্থ সেবা, এবং মানুষের উন্নতি। এই মূল্যবোধগুলি সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাধীনতার সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নৈতিক চরিত্র গঠনে সাহায্য করেছিল।

জাতির সেবা:

রামকৃষ্ণ মিশনের "মানবসেবাই ঈশ্বরসেবা" নীতিটি বসুর মনে গভীর দাগ কেটেছিল। তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে একধরনের পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করতেন।

আত্মিক শক্তির বিকাশ:

রামকৃষ্ণ মিশনের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং নৈতিক চরিত্র গড়ার উপর জোর সুভাষচন্দ্রকে তার বিপ্লবী যাত্রায় সাহস এবং দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।

---

সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনে বাস্তব প্রভাব

সুভাষচন্দ্র বসু স্বামী বিবেকানন্দকে তার আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে মনে করতেন এবং তাঁর রচনাগুলি যেমন কর্মযোগ এবং কলম্বো টু আলমোড়া সবসময় সঙ্গে রাখতেন। তিনি বলেছিলেন, “স্বামীজি পূর্ব এবং পশ্চিম, ধর্ম এবং বিজ্ঞান, অতীত এবং বর্তমানকে একীভূত করেছেন। আর এটাই আজকের ভারতের সবচেয়ে প্রয়োজন।”

সেবা, আত্মত্যাগ এবং আধ্যাত্মিকতার এই আদর্শগুলির প্রভাব বসুর দৃষ্টিভঙ্গিকে শুধু একজন বিপ্লবী নেতা নয়, একজন আধ্যাত্মিকভাবে জাগ্রত ব্যক্তিত্ব হিসেবেও গড়ে তুলেছিল।

তথ্যসূত্র:

1. স্বামী বিবেকানন্দর রচনা সমগ্র

2. সিস্টার নিবেদিতার ভারতীয় ঐতিহ্য

3. রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাব

4. সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মজীবনী: Indian Pilgrim




 


Monday, January 17, 2022

Featured Posts

রামকিঙ্কর বেইজ - আধুনিক ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শক  রামকিঙ্কর বেইজ ছিলেন একজন ভারতীয় ভাস্কর এবং চিত্রশিল্পী, আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শকদের একজন এবং প্রাসঙ্গিক আধুনিকতাবাদের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব।  বেইজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অর্থনৈতিকভাবে বিনয়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  কিশোর বয়সে রামকিঙ্কর ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে জড়িত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিকৃতি আঁকতেন।  16 বছর বয়সে তিনি প্রখ্যাত সাংবাদিক রামানন্দ চ্যাটার্জির নজরে পড়েন। চার বছর পর রামকিঙ্কর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার ছাত্র হিসেবে যোগ দেন।  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা অর্জনের পর তিনি ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান হন।  রামকিঙ্করের বিখ্যাত ভাস্কর্য শিষ্যদের মধ্যে রয়েছে প্রভাস সেন, শঙ্খো চৌধুরী, অবতার সিং পানওয়ার, মদন ভাটনগর, ধর্মানি, বলবীর সিং কাট্ট, রাজুল ধারিয়াল এবং সুসান ঘোস একটি ছোট ছেলে হিসাবে, তিনি স্থানীয় কারিগর এবং চিত্র-নির্মাতাদের কাজের সময় দেখে বড় হয়েছিলেন;  এবং তার পথে যা আসে তা দিয়ে ছোট মাটির চিত্র এবং পেইন্টিং তৈরি করে। 1938 সালে শান্তিনিকেতনে তৈরি "সাঁওতাল পরিবার"  এটি তাকে 1925 সালে, জাতীয়তাবাদী প্রকাশক এবং নতুন ভারতীয় শিল্প আন্দোলনের জন্য রামানন্দ চ্যাটার্জির পরামর্শে শান্তিনিকেতনের আর্ট স্কুল কলা ভাবনায় তার পথ চিহ্নিত করতে পরিচালিত করেছিল।  শান্তিনিকেতনে, নন্দলাল বোসের নির্দেশনায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা আকৃতির মুক্ত বৌদ্ধিক পরিবেশের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, তাঁর শৈল্পিক দক্ষতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিগন্ত নতুন গভীরতা এবং জটিলতা অর্জন করে।  কলা ভবনে পড়াশোনা শেষ করার পর শীঘ্রই তিনি এর অনুষদের সদস্য হন এবং নন্দলাল এবং বিনোদ বিহারী মুখার্জির সাথে শান্তিনিকেতনকে স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে আধুনিক শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  তিরিশের দশকের গোড়ার দিকে তিনি ক্যাম্পাসকে একের পর এক ভাস্কর্যে ভরিয়ে দিতে শুরু করেন, যা বিষয়বস্তুতে উদ্ভাবনী এবং ব্যক্তিগত শৈলীতেও ছিল। এই ধারায় তাঁর প্রথম শ্রেষ্ঠ রচনা ছিল 1938 সালে করা সাঁওতাল পরিবার। এই বৃহত্তর জীবন ভাস্কর্যে তিনি এই অঞ্চলের উপজাতীয় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, চিত্রগুলিকে আইকনিক উপস্থিতি এবং মর্যাদাপূর্ণ অনুগ্রহ প্রদান করেছিলেন যা এখনও পর্যন্ত ঈশ্বর এবং শাসকদের চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সিমেন্ট এবং ল্যাটারাইট মর্টার ব্যবহার করে চিত্রগুলিকে মডেল করা, এবং একটি ব্যক্তিগত শৈলীর ব্যবহার যাতে আধুনিক পশ্চিমা এবং ভারতীয় প্রাক-শাস্ত্রীয় ভাস্কর্যের মূল্যবোধগুলিকে একত্রিত করা হয়েছিল।  এই মৌলিক কাজের মাধ্যমে রামকিঙ্কর নিজেকে নিঃসন্দেহে আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।  ঋত্বিক ঘটক বিচক্ষণতার সাথে বেইজের উপর 'রামকিঙ্কর' (1975) নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন যেখানে তিনি তাকে একজন রাজনৈতিক আইকন হিসেবে তুলে ধরেন।  2012 সালে ভাস্কর কে.এস.  রাধাকৃষ্ণান দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট-এ রামকিঙ্করের একটি গ্র্যান্ড রেট্রোস্পেকটিভ কিউরেট করেছেন।  রামকিঙ্কর বাইজ (বই), বিশিষ্ট শিল্প ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আর. শিব কুমারের বইটি রামকিঙ্কর বাইজের সবচেয়ে ব্যাপক গ্রন্থ বলে মনে করা হয়।   তথ্যসূত্র : Wikipedia, Google.  "(ছবি Google থেকে সংগৃহীত) পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শিল্প ইতিহাসের আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আরও লেখা এই ব্লগ নিয়মিত পাবেন। তাই নিয়মিত আমাদের ব্লগ Follow করুন।

    অযোধ্যা, রাম জন্মভূমি (প্রভু শ্রীরামের জন্মস্থান), দৈব শক্তি অনুভব করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি ঈশ্বর নিজে...

Popular Posts