প্রকাশনার তারিখ : ২৮শে নভেম্বর ২০২৩
INDOLOGY- একটি বিষয়। তবে এখানে আসন্ন দিনগুলিতে স্বর্গীয় পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলার জন্য............... অনুগ্রহ করে একজন অনুসরণকারী হন এবং অনুসরণ করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিন..........
In This Blog You Can Find Articles Regarding Indian Arts, Science, Culture, Philosophy ,History ,Spirituality ,Rational and CREATIVE THOUGHTS. To ENFORCE An Earthly Life Into The DIVINE Life keeping the normal life style intact,to innovate and to reveal the new things to serve THE MOTHER- EARTH and HER DWELLERS I am inviting you to join us. Be a follower and share your thoughts. Visit https:// www.sridoctor.com to know more.
প্রকাশনার তারিখ : ২৮শে নভেম্বর ২০২৩
INDOLOGY- একটি বিষয়। তবে এখানে আসন্ন দিনগুলিতে স্বর্গীয় পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলার জন্য............... অনুগ্রহ করে একজন অনুসরণকারী হন এবং অনুসরণ করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিন..........
।। শ্রীযোগ সেন্টার ট্রাস্টের মুল মন্ত্র, প্রতিজ্ঞা, মনন সঙ্গীত ও জয়ধ্বনি ৷৷
।। মূল মন্ত্র ।।
শ্রী শ্রী শ্রীআনন্দময় আনন্দময়ী সসুশ্রী গুণশ্চগুণা , সসুশ্রী নির্গুণশ্চনির্ধণা , সসুশ্রী রূপশ্চরূপা , সসুশ্রী অরূপশ্চঅরূপা, শ্রী সদ, শ্রী ব্ৰহ্ম, শ্রী চৈতন্যশ্চ শ্রী চৈতনেভ্যোঃ নমঃ।
।। প্ৰতিজ্ঞা ।।
শ্রী শ্রী শ্রীবোধম্ শরণং গচ্ছামঃ। শ্রীধর্মম্ শরণং গচ্ছামঃ। শ্রীসংঘম্ শরণং গচ্ছামঃ।
৷৷ প্ৰাৰ্থনা ও মনন সঙ্গীত ।।
এ নব যুগের নবীনতন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মিলনমন্ত্রে শ্রী শ্রী শ্রীবোধের শরণ নিলাম। শ্রীধর্মের শরণ নিলাম, শ্রীসংঘের শরণ নিলাম।
অন্তরে যা পূর্ণ, তারে বহির্বিশ্বে চিনবো।
‘বিরাট আমি’ কে জানবো। বাহিরে যা কিছু হয়, ভিতরে হিসাব মেলাবো।
নিত্য যুক্ত থাকবো। প্রতিদিন ধ্যান করবো।
আমার ‘আমি’কে, ভিতরে বাহিরে চিনবো। নিজ প্রেমে সদা থাকবো।
সদাই একথা বলবো।
সকলকে সদা যে বলব। সদাই একথা বলবো।
যত গোলমাল, রোগ জঞ্জাল, প্রাণায়ামে ঠেলে সারাবো,
নিজেই নিজেকে সারাবো। নিজেই নিজেকে পড়াবো।
নিজেই নিজেকে বোঝাবো। নিজেই নিজেকে সারাবো।
।। জয়ধ্বনী ৷৷
জয় শ্রীশ্রী শ্রীনাথনাথশ্চ রঘুনাথশ্চদুর্গানাথশ্চ শান্তিনাথ কী জয়।
Visioned by Sri Rajatsubhra Written by Sri Rakhi, Sri Aishi, Sri Usashri, Sri Arkaniv.
শ্রীযোগ সেন্টার
কোঙারপুর ।। পোষ্ট - সিহড় ।। জেলা - বাঁকুড়া
MSME Registration No.
UDYAM-WB-07-0004697
শ্রীযোগ সেন্টার কী এবং কেন ?
‘শ্রীযোগ সেন্টার' স্থাপনা স্বাভাবিক ক্রমেই হয়েছে ২০১৮ সালে। যেমনটি ঠিক 'শ্রী' যোগ। মহাবিশ্বের প্রতিটি কণায় কণায় শ্রী পরম সুন্দরের যে ছন্দময় বিন্যাস তারই সুরে যুক্ত হওয়ার নাম ‘শ্রী’ যোগ। তেমনি তার নিয়মিত অভ্যাস করার জন্য যে যোগ কেন্দ্রগুলি অনাদিকাল হতেই বর্তমান তারই সূত্র ধরে এই কেন্দ্রের প্রকাশ। এই ক্ষেত্র ‘শ্রী ক্ষেত্র’। কারণ এ নাম শিহড়। যা এসেছে ‘শ্রী হর’ থেকে। কামরূপা সকল কামনা পূরণকারিনী কামাখ্যাদেবী এখানে শ্রী শ্রী শাস্তিনাথের ভৈরবী। ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ চারটি বর্গই এখানে পূর্ণভাবে লাভ করা যায়। শ্রী শ্রী ৺শান্তিনাথ জীউ এখানের স্থানীয় প্রধান দেবতা। মা সারদা স্বয়ং‘শ্রী', দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর অবতার। ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব মা সারদাকে ‘শ্রী’ বা ত্রিপুরাসুন্দরী রূপে পূজা করেছিলেন। আর সেই মায়ের প্রভাবে তাঁর জন্মভূমি, শিহড় , কোঙারপুর অঞ্চল বিশেষ ভাবে ভাবমান। এই স্থানের মাহাত্ম্যই আলাদা। স্বয়ং শ্রীপুরী এটি। শ্রী সম্প্রদায়ের কৌলাঅবধূত শ্রী শিবানন্দ সরস্বতী ও শ্রী শ্যামানন্দ সরস্বতী পূজিতা ‘শ্রী’ রুপিনী রটন্তীকা দেবীর অধিষ্ঠান এক্ষেত্রে। এসব কথা মাথায় রেখে ‘শ্রীযোগ’ টি ঠিক কি ও কেমন করে তার অভ্যাস করা হবে, ভাবী কালে তা বোঝানো ও প্রচারের জন্য ‘শ্রী' যোগ সেন্টার তৈরী হল। ‘শ্রীযোগ’ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের পথে সর্বধর্মের সমন্বয়কারী এক সনাতন পথ। নিজ নিজ গুরুর মন্ত্র নিয়েই, নিজ নিজ ধর্মে থেকেই, সংসারের কাজের মধ্যেই শুধু জীবনের ছন্দটাকে একটু বদলে নিয়ে দীর্ঘায়ু ও আনন্দময় হবার রাস্তা হল শ্রীযোগ। একটু নিয়মিত অভ্যাস, একটু ব্যায়াম, একটু ছন্দে ছন্দে নিজের গুরু মন্ত্রে লীন হয়ে যাওয়ার আনন্দ। সেটিই শ্রীযোগে ‘বৈদিক সব ’ শিক্ষার মধ্যে দেওয়া হয় । দেখিয়ে দেওয়া হয় সংসারীরাও যোগী।
‘শ্রীযোগ সেন্টার' -এর কার্যগুলি হল
১। বাংলার ও ভারতের যোগীদের লেখা বইয়ের অনলাইন (www.indibengal.blogspot.com) (Bengal Spirit) লাইব্রেরী।
২। বাংলার ও ভারতের যোগীদের শ্রী মঠগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়েবসাইট (www.ashraminfo.blogspot.com) ও সংগঠন তৈরী করা।
৩। বাংলা ক্যালেণ্ডার - যাতে ছোটো ছেলেমেয়েরা বাংলার ও ভারতের বিশেষ মনীষী ও অনুষ্ঠানের সম্পর্কে জানতে পারে।
৪। শিক্ষা : ‘স্ত্রী যোগ’ শিক্ষা, দান, বৈদিক সবণের ট্রেনিং ও বেদ গবেষণা।
৫। কম মূল্যে বিপনণ শ্রীযোগ তৈল, শ্রীযোগ রোগহর চূর্ণ, দেশী ঘি, পোস্ত।
৬। সাধনক্ষেত্র, ধ্যান, জপ কেন্দ্রগুলি ও মঠগুলির সংযুক্তি ও পারস্পরিক সাহায্য। (https://ashraminfo.blogspot.com/ https://indibengal.blogsport.com)
৭। দাতব্য চিকিৎসালয়।
৮। পায়ের যন্ত্রণার চিকিৎসা।
৯। সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান।
১০। সংসারী মানুষকে সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান।
১১। দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ।
এখানে দেবতাদের নিত্যসেবা, অতিথিসেবা, ‘শ্রী' যোগ বিদ্যার অভ্যাস, বেদচর্চ্চা। কিছু হস্তশিল্প, কুটীরশিল্প, কিছু চাষবাস, ভেষজ, যোগ ও অ্যালোপ্যাথি সহযোগে চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষজন মনের শাস্তি খুঁজে পাবে। সেই চেষ্টা থেকে 'শ্রী যোগ সেন্টার’ সৃষ্টি হয়েছে।
সিহড় - কোঙারপুরে বড়বাবা - শ্রী ৺রামব্রহ্মের উত্তরসূরী ডাঃ গুনময় মুখোপাধ্যায়ের বাড়ীর পাশেই তাঁরই দাদু শ্রী ভুতনাথ মুখোপাধ্যায়ের গৃহের বাস্তু জমির উপর এটি অবস্থিত। মানুষজনকে বোঝাতেই 'শ্রী যোগ সেন্টারের' স্থাপনা। এখানে বারোমাস শ্রী শ্রী দুর্গা বিরাজিতা। এ স্থান ভগবান শ্রী বিষ্ণু রঘুনাথজী ও শ্রীরাধাশ্যামজীর মিলনে বৈষ্ণবভাবে মণ্ডিত।
সেই স্থানে মানুষজন আসবেন, দেখবেন, বুঝবেন, থাকবেন। অন্যদেরও আনবেন, বলবেন, - এই সদিচ্ছা থেকে ‘শ্রীযোগ সেন্টার’ কাজ করবে।
আপনারা আশীর্বাদ করুন। আসুন। আমাদের সবাই আপন। সব ধর্ম, সব জাতি।
শ্রদ্ধা, প্রেম, ভালবাসা, বিশ্বাস এই আমাদের পাথেয়। সব ধর্মের লোক ‘শ্রীযোগ’ বুঝতে পারলে তার নিজস্ব ধর্ম পালনের আরও সুবিধা হবে।
‘শ্রীযোগ সেন্টার' -এর পরিকল্পনাগুলি হল
১। পরিবেশ ইকো সিটি, অবকাশ যাপনের গৃহ নির্মাণ।
২। স্বাস্থ্য : সর্ব সম্মত সার্বভৌম চিকিৎসা।
৩। মানুষের জন্য পুকুর সংস্কার (মাটির নিচে জল কম ব্যবহার)।
৪। জল সংরক্ষণ।
৫। কুটীর শিল্প, হস্তশিল্প, পরিবেশ অনুকুল চাষ।
এ কাজগুলি সুষ্ট ভাবে পরিচালনার জন্য আপনার সাধ্যমত কিছু অর্থ সাহায্য নিয়ে চিরতরে আপনার কাছে ঋণী হতে চাই। জানি আপনি হাত ঠিক বাড়াবেন।
ইতি
সদস্যগণ ও সেক্রেটারী
'শ্রীযোগ সেন্টার'
কোঙারপুর, পোঃ - সিহড়, বাঁকুড়া
রেজিঃ- ১৯০৩০৬৪৪১
A/c No. 38489892015 // IFS Code - SBIN0012393
Phone Pe - 7362988045@ybl
Our Facebook Page: Sri Yoga Centre/ Facebook
প্রকাশনার তারিখ : ৫ই অক্টোবর ২০২৩
।। কলাবৌ, গনেশ ও গনেশের পত্নীগণ - এর সম্পূর্ন অজানা তথ্য ব্যাখ্যাসহ।। শ্রীরজতশুভ্র মুখোপাধ্যায় (শ্রীডক্টর)
প্রকাশনার তারিখ : ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
INDOLOGY- একটি বিষয়। তবে এখানে আসন্ন দিনগুলিতে স্বর্গীয় পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলার জন্য............... অনুগ্রহ করে একজন অনুসরণকারী হন এবং অনুসরণ করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিন..........
আদতে তিনি একম অদ্বিতীয়ম্। আবার সৃষ্টির সার্থে তিনি পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবযুক্ত। বেদে সৃষ্টির বিষয়টা সাধারণ পুরুষ ও প্রকৃতি সংযোগ নয়। পুরুষ বীজ দেয়। প্রকৃতি গর্ভবতী হয়ে ফল বা সন্তান উৎপাদন করে ঐ বীজ নিয়ে। এটা একটা রাসায়নিক বিক্রিয়ার দৃষ্টি নিয়ে দেখলে পুরুষ ও প্রকৃতি প্রতিটি বিক্রিয়ার সাপেক্ষ বদলে যাবে। এই উপপাদ্যটি বেদে ঋষিগণ সুন্দর করে প্রয়োগ করেছেন । যেমন, সূর্যের রশ্মি সমুদ্রের জল গরম করে। এখানে সূর্যের রশ্মি পুরুষ। সমুদ্রের জল প্রকৃতি। আবার ঐ জল বৃষ্টির ধারা হয়ে মাটিতে পড়ে। জল তখন পুরুষ। মাটি বা পৃথিবী হলো প্রকৃতি। এই উদাহরণ ঋষিগণ ঋক ও অথর্ব বেদে " অস্য বামস্য পালিত... ইত্যাদি সূক্তে পুরুষ ও স্ত্রী সত্ত্বার কর্ম অনুসারে আপেক্ষিকত্ব দেখিয়েছেন।
○সুতরাং মা ,বাবা, স্ত্রী, সন্তান ইত্যাদি মনুষ্য সমাজের সম্পর্ক গুলো ঈশ্বরের জগতে আপেক্ষিক। কাজ ও গুণ অনুযায়ী তাই রুপ গুলো ধরা হয়। যেগুলো তার সর্বশক্তিমানতা ও লীলার প্রকাশ।
○আদিরও আদিতে কার কোলে কে বসে লীলা করেন ও কোন কল্যানের জন্য তা করেন, তা একমাত্র লীলাময় জানেন।
○অথর্ব বেদের একাদশ খন্ডে "উচ্ছিষ্ট" শব্দ দিয়ে কবিতা ও তার পরেও ব্রহ্ম নিরুপনে আরও কয়েকটি কবিতা আছে। এই খানে বোঝা যায়, ইনি মহাগণপতি। তন্ত্র হল বেদের ক্রিয়াধারা। সেখানে এনাকে ও এনার শক্তিকে যুগপৎ আরাধনা করেন প্রাচীন ঋষিরা।
○এবার একটু বিজ্ঞানের চোখ দিয়ে দেখি।এই সূত্র গুলো পাঠ করলেই বোঝা যায়, এই যে ইউনিভার্স, এর যাবতীয় সবকিছু, এই উচ্ছিষ্ট গনেশের মন্ত্রে আলোচনা করা আছে। কিন্তু এইসব যাতে সমাহিত তিনি এন্টি ফোর্স কন্ট্রোল করে সব কিছু ব্যালেন্স করে ঋতময় ছন্দময় রেখেছেন কিভাবে?
○এইখানে তন্ত্র স্ত্রী হিসেবে "রিদ্ধি", "সিদ্ধি" ও "বুদ্ধি" কে রেখেছেন। যাঁরা rhythmic o disciplinary world কে চালনা করেন। (শব্দগুলো ও তাদের অর্থ গুলো লক্ষ্য করুন। এই "শব্দ" ও অর্থ এবং তার ধ্বনী বা স্বন্ বা স্বর বা রব্ বা ঘোষ -সেইখানেই বৈদিক, তান্ত্রিক ও সনাতনী মৌলিক সাহিত্য গুলির সব রহস্য, মৌলিকত্ব ও বিশেষত্ব লুকিয়ে আছে।) "বিঘ্নেশ্বরী" তার শক্তি। "বিঘ্নেশ্বরী" কেন?
○যখন ব্রহ্মান্ড আদিকণা দিয়ে ভরা ছিল,বোসন, ফার্মিয়ন ইত্যাদি, তখন এইগুলোর আয়ু তাৎক্ষণিক ছিল। পার্টিকেল ও এ্যান্টি পার্টিকেল দিয়ে ভরা। ফোর্স -এ্যান্টিফোর্স, ম্যাটার -অ্যান্টি ম্যাটার, ডার্ক ম্যাটার, এইসবে ভরা ছিল।
○কিন্তু এত বিষম স্পেসে সৃষ্টি ও বীজ কি করে আসবে?
○আদি ঈশ্বর তখন হয়েছেন প্রজাসৃসিক্ষু। এক দেহে দুই সত্ত্বা এল। পুরুষ ও স্ত্রী। হলেন অর্ধনারীশ্বর। এই স্ত্রী হলেন সন্তান পালনের জন্য ছন্দময়ী। রুপের সৃষ্টি হল নক্ষত্র ও গ্রহ ইত্যাদি সব হয়ে। কিন্তু যে বিশৃঙ্খল কণারা আছে, বিপরীত ধর্মী কণারা আছে, তাদেরও শক্তি আছে। ঐ শক্তি এই বিশ্বের সিস্টেমকে বিকল করে দেয়। বিঘ্ন ঘটায়। সেই শক্তির নিয়ন্ত্রন কিভাবে হল? সেই শক্তি আসেই বা কোথা থেকে?
○প্রাথমিক শক্তি ভাল ও মন্দ দুইতেই ভরা। সেখানে সৎ পুরুষ সুপ্ত। সৃষ্টির "ইক্ষা"ই ঐ শক্তির আদি। তিনিই সৎ পুরুষের মনকে পরিবর্তন ঘটিয়ে জাগিয়ে তোলেন। দুজন অর্ধনারীশ্বর হন। অর্থাৎ মুক্তশক্তি আদিরও আদি। ইনিই মহাবিষ্ণু বা মহাবৈষ্ণবী। তারই লীলা সৎ পুরুষের সাথে। আর তার থেকে জন্মায় অদ্বৈত রুপ। ইনিই মহাগণপতি বা উচ্ছিষ্ট গনেশ বা বিঘ্নহর্তা গনেশ। যিনি একদিকে যেমন সৎপুরুষের কাজকে সম্পূর্ণ করান অন্য দিকে তার অন্য শক্তি দিয়ে "বিঘ্নশক্তি"কে আগলে রাখেন বা নিয়ন্ত্রিত করেন।
○বিঘ্নহর্তা গণেশের এই অন্য শক্তিই হলেন "বিঘ্নেশ্বরী"।
○ কিভাবে? বিঘ্নশক্তিকে আনন্দে উন্মত্ত করে।
○সবচেয়ে তীব্র আনন্দ কিসে হয়? "কামে"। কিন্তু এই মৈথুনের শুরুই হয়েছে। এর পতন নেই। শেষ নেই। তাই এর সন্তানও নেই। শুধু বিঘ্নকারী শক্তিকে অন্য দিকে ভুলিয়ে রাখাই এর উদ্দেশ্য।
○কলাবৌয়ের উপাদান গুলির ওষধি গুণ আছে । ওষধিকে সোমরাজ্ঞী বলা হয়।
○ " যা ওষধি সোমরাজ্ঞী বর্হি শত বিচক্ষণা..."। এনারাই গণেশের শক্তি, সামর্থ্য, লাবন্য কে ভার্যার মতো ধরে রাখেন। যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উচ্ছিষ্ট গনেশ বিঘ্ন শক্তির নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।
○সেই ফাঁকে সৎ পুরুষ "সৃষ্টি" করে চলেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু। প্রকাশিত হয় মানুষের দল, ভক্তজন।
○উচ্ছিষ্ট কেন?
○থাক। পরে হবে।
ডাঃ রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আশাকরি গনেশ ও কলাবৌ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আপনাদের জানাতে পেরেছি। আমাদের ব্লগ নিয়মিত Follow করুন আরও নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য, যা শুধুমাত্র এই ব্লগেই আপনি পাবেন।।
গণেশের স্ত্রী কলাবৌ? নবপত্রিকা আসলে কি?
প্রকাশনার তারিখ : ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
INDOLOGY- একটি বিষয়। তবে এখানে আসন্ন দিনগুলিতে স্বর্গীয় পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলার জন্য............... অনুগ্রহ করে একজন অনুসরণকারী হন এবং অনুসরণ করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিন..........
দুর্গা পুজো আর বেশি দেরি নেই, আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবের অপেক্ষার দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। তবে তার আগে আসুন জেনে নিই একটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে। যেটা আমাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো জানা নেই।
সপ্তমীর সকালে এই নবপত্রিকার স্নান একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। গঙ্গা, পুকুর বা কোনও জলাশয়ে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নানের জন্য লাগে তেল-হলুদ, অষ্টকলস, পঞ্চরত্নের জল, পঞ্চ অমৃত, পঞ্চ শস্য, পঞ্চ গব্য, পঞ্চ কষায়, বৃষ্টির জল, ডাবের জল, শিশির, সমুদ্রের জল, তীর্থের জল, আখের রস, বরাহদন্ত মৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা, সর্ব ঔষধি, মহা ঔষধি, চতুষ্পদ মৃত্তিকা, পদ্মরেণু, চন্দন। এই সমস্ত কিছু দিয়ে কলা বউকে স্নান করিয়ে অধিষ্ঠিত করা হয় গণেশের পাশে।
কলাবৌ স্নান সেরে শুরু হয় সপ্তমীর পুজো। সপরিবারে থাকা দুর্গাপ্রতিমার ডানদিকে ঠিক গণেশ ঠাকুরের পাশে বসানো হয় কলাবৌকে। যা দেখে অনেকেরই মনে হয় গণেশের বউ হয়ত এই কলা বউ। কিন্তু আদতে সেই ধারণা একেবারেই ভুল। কলাবৌ আসলে দেবী দুর্গা। মা দুর্গার বৃক্ষরূপ এই কলাবৌ।
আক্ষরিক অর্থে নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ ন'টি পাতা, তবে ন'টি গাছ নিয়ে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়। এই ন'টি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক, এরমধ্যে রয়েছে- কদলী বা রম্ভা ( কলা গাছ ), কচু, হরিদ্রা ( হলুদ ), জয়ন্তী , বিল্ব( বেল ), দাড়িম্ব ( দাড়িম ), অশোক,মান ও ধান। এই নয় গাছ দেবীর যে নয় রূপকে বোঝায় সেই নয়টি রূপ হল-ব্রহ্মাণী, কালিকা, উমা, কার্তিকী, শিবা, রক্তদন্তিকা, শোকরহিতা, চামুন্ডা ও লক্ষী। এই নয় দেবী একত্রে "নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা" নামে "ॐ নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ" মন্ত্রে পূজিতা হন।
সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি পাতা-সহ গাছ একসঙ্গে দুটি বেলের সঙ্গে অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে মাথায় সিঁদুর পড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে নতুন বউয়ের আকারে সাজানো হয়। এরপর সেটা রাখা হয় গণেশ ঠাকুরের ডানদিকে।
দুর্গা পূজোর প্রথম দিন সপ্তমীর দিন সকালে পুরোহিত নিজেই নবপত্রিকা কে নিয়ে নিকটস্থ কোন নদী বা পুকুরে স্নান করাতে নিয়ে যান । সঙ্গে মহিলারা উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি করতে করতে যান, ঢাকীরাও ঢাক বাজাতে বাজাতে যান। নবপত্রিকা মণ্ডপে প্রবেশের পর দর্পণে দেবীর প্রতিবিম্ব স্থাপন করে মহাস্নান করানো হয়। এরপর বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা সপরিবারে থাকা দেবী দুর্গার সঙ্গেই পূজিত হন। গবেষকরা মনে করেন, নবপত্রিকার পূজা আসলে শস্যদেবীর পূজা। যেখানে শস্যকেই বধূরূপে দেবীর প্রতীক হিসেবে পূজা করা হয়। আর, সেই থেকেই এসেছে কলাবৌ স্নানের প্রথা।
।।গনেশের ও কলাবৌ ও গনেশের পত্নীগণ - এর সম্পূর্ন অজানা তথ্য ব্যাখ্যাসহ।।
প্রকাশনার তারিখ : ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩
INDOLOGY- একটি বিষয়। তবে এখানে আসন্ন দিনগুলিতে স্বর্গীয় পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলার জন্য............... অনুগ্রহ করে একজন অনুসরণকারী হন এবং অনুসরণ করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিন..........
গনেশের স্ত্রী কে? লক্ষ্মীর সাথে মাতা পুত্রের সম্পর্ক। লক্ষ্মী-গনেশের ছবি খুব দেখা যায়। মা লক্ষী ও নারায়ণ গজাননকে পূর্ণানন্দ বলেন। । কিন্তু মা তার দুর্গামা।
একমাত্র মা ই তাঁর সর্বস্ব। অর্থাৎ তিনি অবিবাহিত। ব্রহ্মচারী।
আবার আছে, কলাবৌ তার বৌ।
আবার আছে , রিদ্ধি, সিদ্ধি ও বুদ্ধি তার স্ত্রী। শুভ ও লাভ তারা পুত্র।
আবার আর এক মত হল, তার স্ত্রী আছে, শক্তি (ভৈরবী) আছে ও দাসী আছে। তার শক্তি (ভৈরবী) হল, বিঘ্নেশ্বরী। তিনি কোথাও গজমুখী বলে অভিহিত।
এবার আপাত ঝামেলা হল, কলাবৌও বিঘ্নেশ্বরী তো দুর্গা মায়ের রুপ। তাহলে ব্যাপার টা তো অন্যরকম হচ্ছে। তিনি উচ্ছিষ্টা। আর এখানে গণপতিও উচ্ছিষ্ট। তিনিই আবার মহাগণপতি। ত্রৈলক্যবশঙ্কর শিব রুপ।
আদতে এক এক রূপভেদে ও সাধনা ভেদে এক এক করম ব্যাপার। এর ঘাড়ে ওকে চাপিয়ে দিলে হবে না।
লেখক - ডাঃ রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায়।
এর পরবর্তী পর্বে এর ব্যাখ্যা আপনি জানতে পারবেন, অনুগ্রহ করে আমাদের এই ব্লগ নিয়মিত Follow করুন।
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যখন আমাদের দেশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছিল, তখন এক ভারতীয় যুবক হাজার মাইল দূরে আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের...