Translate

Thursday, March 6, 2025

|| অঙ্কন কথা || পর্ব - ৬

|| মাধ্যম জলরঙ ||

জলরঙ (Water colour) এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা খুব শীঘ্রই কোনো চিত্র ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। এই মাধ্যমের দ্বারা কোনো বিষয়কে পরিপূর্ণ খুঁটিনাটি না ধরেই খুব সহজেই সুন্দর রূপে ফুটিয়ে তোলা যায়। তারজন্য চাই অভ্যাস ও ধৈর্য। যেকোনো বিষয়কে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে গেলে অভ্যাস ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।এই জলরঙের পেপার নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে যে সমস্ত ড্রয়িং খাতা পাওয়া যায় সেগুলি শুরুতে জলরঙ প্র্যাকটিসের জন্য ঠিক আছে কিন্তু তাতে উপযুক্ত জলরঙের ছবি ঠিক ভাবে আঁকা যায় না। এই ধরনের পেপারের জল ধারণ ক্ষমতা খুবই কম থাকে আর তাছাড়া এই পেপার আমরা যতই রং দিই সেই তুলনায় তার উজ্জ্বলতা আসেই না। যার ফলে ছবির সৌন্দর্য্য কমে যায়। তাই জলরঙ করার জন্য আমদের উপযুক্ত কাগজ কেনা জরুরি। কিন্তু উপযুক্ত কাগজ পাবো কোথায়? এটা একটা প্রশ্ন। যাদের বাড়ি কলকাতার আশেপাশে তারা কোনো প্রসিদ্ধ আর্ট এর দোকান থেকে তা সংগ্রহ করতে পারে। এই জলরঙের কাগজের গুণমান অনুযায়ী মূল্য কম বেশি হয়। তবে এই ধরণের পেপার গুলিতে কমবেশি ভালোই কাজ করা যায়। যাদের বাড়ির আশেপাশে এই ধরনের পেপার সংগ্রহ করার উপযুক্ত কোন দোকান নেই, তারা অনলাইনে এই পেপার অর্ডার করতে পারেন। সেখানে আপনি সাইজ A4 থেকে ফুল সিটের কাগজ পেয়ে যাবেন। এরপর বিষয় হল রঙ। মার্কেটে জলরঙের দুটি বিকল্প পাওয়া যায় একটা স্টুডেন্ট ওয়াটার কালার অপরটি হল আর্টিস্ট ওয়াটার কালার। আর্টিস্ট ওয়াটার কালারের দাম একটু বেশি হলেও জলরঙের আসল মজা ও তার বিশেষ ধর্ম স্বচ্ছতাকে ঠিকভাবে বুঝতে গেলে আমাদের ওটাই সংগ্রহ করতে হবে। আর ব্রাশের (তুলি) ক্ষেত্রেও তাও আমরা অফলাইনে অথবা অনলাইন থেকে তা সংগ্রহ করতে পারি। প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটা রাউন্ড ব্রাশ আর একটা বা দুটি ফ্ল্যাট ব্রাশ (১ ইঞ্চি, ১/২ ইঞ্চি)।

 

(Content subject to copyright)





No comments:

Featured Posts

রামকিঙ্কর বেইজ - আধুনিক ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শক  রামকিঙ্কর বেইজ ছিলেন একজন ভারতীয় ভাস্কর এবং চিত্রশিল্পী, আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর্যের পথপ্রদর্শকদের একজন এবং প্রাসঙ্গিক আধুনিকতাবাদের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব।  বেইজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অর্থনৈতিকভাবে বিনয়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  কিশোর বয়সে রামকিঙ্কর ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে জড়িত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিকৃতি আঁকতেন।  16 বছর বয়সে তিনি প্রখ্যাত সাংবাদিক রামানন্দ চ্যাটার্জির নজরে পড়েন। চার বছর পর রামকিঙ্কর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার ছাত্র হিসেবে যোগ দেন।  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা অর্জনের পর তিনি ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান হন।  রামকিঙ্করের বিখ্যাত ভাস্কর্য শিষ্যদের মধ্যে রয়েছে প্রভাস সেন, শঙ্খো চৌধুরী, অবতার সিং পানওয়ার, মদন ভাটনগর, ধর্মানি, বলবীর সিং কাট্ট, রাজুল ধারিয়াল এবং সুসান ঘোস একটি ছোট ছেলে হিসাবে, তিনি স্থানীয় কারিগর এবং চিত্র-নির্মাতাদের কাজের সময় দেখে বড় হয়েছিলেন;  এবং তার পথে যা আসে তা দিয়ে ছোট মাটির চিত্র এবং পেইন্টিং তৈরি করে। 1938 সালে শান্তিনিকেতনে তৈরি "সাঁওতাল পরিবার"  এটি তাকে 1925 সালে, জাতীয়তাবাদী প্রকাশক এবং নতুন ভারতীয় শিল্প আন্দোলনের জন্য রামানন্দ চ্যাটার্জির পরামর্শে শান্তিনিকেতনের আর্ট স্কুল কলা ভাবনায় তার পথ চিহ্নিত করতে পরিচালিত করেছিল।  শান্তিনিকেতনে, নন্দলাল বোসের নির্দেশনায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা আকৃতির মুক্ত বৌদ্ধিক পরিবেশের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, তাঁর শৈল্পিক দক্ষতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিগন্ত নতুন গভীরতা এবং জটিলতা অর্জন করে।  কলা ভবনে পড়াশোনা শেষ করার পর শীঘ্রই তিনি এর অনুষদের সদস্য হন এবং নন্দলাল এবং বিনোদ বিহারী মুখার্জির সাথে শান্তিনিকেতনকে স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে আধুনিক শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  তিরিশের দশকের গোড়ার দিকে তিনি ক্যাম্পাসকে একের পর এক ভাস্কর্যে ভরিয়ে দিতে শুরু করেন, যা বিষয়বস্তুতে উদ্ভাবনী এবং ব্যক্তিগত শৈলীতেও ছিল। এই ধারায় তাঁর প্রথম শ্রেষ্ঠ রচনা ছিল 1938 সালে করা সাঁওতাল পরিবার। এই বৃহত্তর জীবন ভাস্কর্যে তিনি এই অঞ্চলের উপজাতীয় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, চিত্রগুলিকে আইকনিক উপস্থিতি এবং মর্যাদাপূর্ণ অনুগ্রহ প্রদান করেছিলেন যা এখনও পর্যন্ত ঈশ্বর এবং শাসকদের চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সিমেন্ট এবং ল্যাটারাইট মর্টার ব্যবহার করে চিত্রগুলিকে মডেল করা, এবং একটি ব্যক্তিগত শৈলীর ব্যবহার যাতে আধুনিক পশ্চিমা এবং ভারতীয় প্রাক-শাস্ত্রীয় ভাস্কর্যের মূল্যবোধগুলিকে একত্রিত করা হয়েছিল।  এই মৌলিক কাজের মাধ্যমে রামকিঙ্কর নিজেকে নিঃসন্দেহে আধুনিক ভারতীয় ভাস্কর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।  ঋত্বিক ঘটক বিচক্ষণতার সাথে বেইজের উপর 'রামকিঙ্কর' (1975) নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন যেখানে তিনি তাকে একজন রাজনৈতিক আইকন হিসেবে তুলে ধরেন।  2012 সালে ভাস্কর কে.এস.  রাধাকৃষ্ণান দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট-এ রামকিঙ্করের একটি গ্র্যান্ড রেট্রোস্পেকটিভ কিউরেট করেছেন।  রামকিঙ্কর বাইজ (বই), বিশিষ্ট শিল্প ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আর. শিব কুমারের বইটি রামকিঙ্কর বাইজের সবচেয়ে ব্যাপক গ্রন্থ বলে মনে করা হয়।   তথ্যসূত্র : Wikipedia, Google.  "(ছবি Google থেকে সংগৃহীত) পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শিল্প ইতিহাসের আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আরও লেখা এই ব্লগ নিয়মিত পাবেন। তাই নিয়মিত আমাদের ব্লগ Follow করুন।

    অযোধ্যা, রাম জন্মভূমি (প্রভু শ্রীরামের জন্মস্থান), দৈব শক্তি অনুভব করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি ঈশ্বর নিজে...

Popular Posts