Translate

Wednesday, April 5, 2023

৹|| "শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা" কেন পড়া উচিত? ||৹

 

 

 


 

গীতা হচ্ছে শ্রীকৃৃষ্ণের বানী। কে এই শ্রীকৃৃষ্ণ? তিনি হচ্ছেন হিন্দু বিশ্বাসমতে ঈশ্বর বা ভগবান। তিনি যুগে যুগে বিভিন্ন রূপে দুনিয়াতে এসেছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য। তিনি রাম হয়ে এসেছিলেন রামায়ন যুগে। মহাভারত যুগে তিনি শ্রীকৃৃৃষ্ণ রূপেই এসেছিলেন।

শ্রীমদ্ভগবৎ গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যখনই পৃথিবীতে অধর্মের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে ও দুরাচারীর অত্যাচার ও নিপীড়ন বেড়ে যাবে, তখন ধর্ম সংস্থাপনের জন্য ভক্তের আকুল প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ঈশ্বর “অবতার” রূপ নিয়ে থাকেন।

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হচ্ছে মহাভারতের অন্যতম ধর্মযুদ্ধ। একই পরিবার উদ্ভূত পাণ্ডব ও কৌরব শিবিরের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধের বর্ননা হচ্ছে মহাভারত। পাণ্ডবরা ন্যায়, কর্তব্য ও ধর্মের পক্ষ। অন্যদিকে কৌরবরা অন্যায়, জোর-জবরধস্তি ও অধর্মের পক্ষ।

সেই যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পান্ডবদের পক্ষ নিয়ে উনার শিষ্য অর্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে করনীয় নিয়ে বানী প্রদান করেন। সেই সাথে কিভাবে নিজের জীবন গঠন করতে হবে সেই বানীর প্রদান করেন। কিভাবে অসুরের বিনাশ ও ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে সেই বর্ননার সন্নিবেশ হচ্ছে ভগবৎ গীতা।

 

এই ধর্মগ্রন্থ কেন পড়া উচিত?

 

১. পরিপূর্ণ মানব জীবন কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তার সন্ধান রয়েছে গীতায়।

২. বিভ্রান্ত মানুষকে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দেয়।

৩. গীতাপাঠ মানুষকে সৎ কর্মের পথে দিক নির্দেশনা দেয়।

৪. জীবনের চলার পথে কোনও সঙ্কটে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার শিক্ষা পাওয়া যায় গীতা অধ্যয়নে।

৫. গীতা মানব দর্শনের কথা বলে।


Wednesday, March 22, 2023

অমৃতকথা | বীরেশ্বরানন্দ | দশম সংঘাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন


এই অমূল্য উপদেশগুলি  পরমপূজ্যপাদ দশম সঙ্ঘগুরু স্বামী বীরেশ্বরানন্দজীর শ্রীমুখ নিঃসৃত:-

¤ জপ    মানে   কি ?  
ঈশ্বরের  কোন বিশেষ   মূর্তি   যিনি   আমার   ইষ্ট  দেবতা  তাঁর   নাম  বা  মন্ত্র   পুনঃ  পুনঃ   আবৃত্তি   করার   নাম  জপ ।   

¤  মন্ত্র   মানে  কি ?   
যা  আমাদের   মনকে  বাইরের   জগৎ থেকে   টেনে   এনে  ভগবৎ  পাদপদ্মে   ধরে  রাখে।  আর   বীজ  মন্ত্র   হচ্ছে   ---  যে - মন্ত্র জপের   দ্বারা   অন্তরের  আধ্যাত্মিক শক্তির  স্ফূরণ  হবে , যে  শক্তির  জোরে  মানুষকে  আস্তে   আস্তে  ভগবদ্দর্শনের  দিকে  নিয়ে যাবে।

¤ সেইজন্যই   জপ  করাটাই    হচ্ছে   মুখ্য   জিনিস ।  জপের    ভিতর  যে  বীজমন্ত্র  তার  মধ্যে  তোমার    সমস্ত  আধ্যাত্মিক  শক্তি   আছে।  জপ   না  করলে   সেই  শক্তির   স্ফূরণ   হবে  না। সেইজন্য   শুধু  ১০৮ -  বার   জপ   করলে   কি করে  এগুনো   যাবে ?   বেশি   জপ   করতে   হবে।   কিন্তু   অনেকেরই   হয়তো   সংসারের   নানা  কাজের    জন্য   বেশি   সময়  থাকে   না ।

¤ তাদের  জন্য  বলা  হয়েছে,  সবসময়  তোমরা  মনে  মনে  জপ   কর।  তোমাদের  কাজকর্মের  ভিতরে  মনে   মনে   জপ   কর। আমাদের   সংসারের   কাজকর্মের   সঙ্গে  সঙ্গে  ভগবানের  নাম  নিতে  হবে। মনে  মনে  স্মরণ করতে  হবে ।  এটা  যদি করতে   পার,  তবে  কম  সময়ের   জন্য   জপ  করলেও   পূরণ   হয়ে  যাবে।  দীক্ষা   নিয়ে   ১০৮  বার   জপ  করব,  তার   জন্য   দীক্ষা   নয়।  তোমাদের   জপ  করতে  হবে   সবসময় ।  

¤ এছাড়া  আর  একটা  জিনিস  হচ্ছে  আমরা  যতই   ধর্মজীবন  যাপন   করি ,  আমাদের   সংসারের   প্রতি  টান   থাকে।  তাহলে   বেশি   এগুনো   যাবে   না।  আমাদের    বৈরাগ্য   অবলম্বন   করতে   হবে।  বৈরাগ্য    অবলম্বন   করতে   গেলেই   প্রথমে    বিচার   করতে   হবে। বিচার   করে  আমরা    দেখব  সংসারের   কোন   কিছুই   স্থায়ী   নয়,  সবই  নশ্বর ।  অতএব  যিনি    সর্বদা   আছেন   সেই  ভগবানকে   আমাদের   পেতে   হবে।  যখন  মনে  এই ভাবটি  ওঠে , তখনই   আমাদের   ধর্ম জীবনের   পক্ষে   সুবিধা ।

¤ সংসারে  তিনটি   জিনিস   দুর্লভ  সেই  তিনটি   জিনিস   হচ্ছে  -------   মনুষ্যজন্ম , ভগবান  লাভ করার  ইচ্ছা,  আর  মহাপুরুষের সঙ্গ।  আমাদের  সকলের   মনুষ্যজন্ম   তো   হয়েছেই , আশা   করি,  আমাদের   সকলেরই   ভগবান    লাভ   করার   ইচ্ছাও  আছে।

¤  যাঁরা  মহাপুরুষের  সংস্পর্শে  আসতে  পারেননি,    তাঁরা  কথামৃত  পড়লে  ঠিক  সেই   মহাপুরুষসঙ্গ , সাধুসঙ্গ    পাবেন  ।   যদি    ধীর   ভাবে   কেউ   কথামৃত  পড়ে  কোন   একটা  দিনের   ঘটনাকে  ধ্যান   করে ,  তবে   সে   ঠিক  দক্ষিণেশ্বরে   চলে    যাবে   ঠাকুরের  ঘরে  ,   আর ধ্যানে   বসে  সে   ঠাকুরের  কথাই   শুনবে। ঠিক  এইভাবে   চিন্তা   করতে  হবে। এই  ভাবে  যদি  হয় তবেই       সাধুসঙ্গ  হয়ে   গেল।

¤  রাজা   মহারাজ   বলতেন  "তোমাদের  এক   কথায়   ব্রহ্মজ্ঞান   দিচ্ছি   আমি।   রোজ  কথামৃত    পড়লে   সংসারের   যা   ঝামেলা,  সংসারের    দিকে    আসক্তি,  এসব   আস্তে  আস্তে   কমে   যাবে।  আর  ভগবানলাভের   জন্য   মনে   খুব    তীব্র   ইচ্ছা   হবে ।"

. সংগৃহীত

Featured Posts

Basic Instinct in Vedic Age

'VEDIC SOBON' : The Discovery of 'SriDoctor', Dr Rajatsubhra Mukhopadhyay,- A New Contribution to the INDOLOGICAL RESEARCH...

Popular Posts