Translate

Tuesday, February 14, 2023

৹|| বেদের ভেতর বিজ্ঞান ||৹



বেদের ভেতর বিজ্ঞান 

ডা‌ঃ রজতশুভ্র মুখোপাধ্যায় 

বেদের বিজ্ঞান একটা সমুদ্র। এর অনন্ত দিক। অনন্ত সূত্র আছে যা এখনও প্রকাশ পায়নি। কিন্তু এর মূল ভিত্তিটা 'মানুষ'। বেদের ভিতের উপর এই এই সনাতন ধর্ম আর ভারতবর্ষ দাঁড়িয়ে আছে ।আজ সেই মূলভিত্তিটার কথাই আলোচনা করব। যা নতুন করে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ। এখনো করে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনের এক সিনিয়র দাদা যাকে আমি দেব মানুষের মত দেখি, অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, KRMSAA গ্রুপে একবার একটি লেখার প্রত্যুত্তরে কিছু কথা লিখেছিলেন। সেটি যথাসাধ্য প্রথমে তুলে দিলাম এবং তার সূত্র ধরে তার বেদের বিজ্ঞানের অন্বেষণের চাহিদার পথ ধরে বেদের মৌলিক বৈজ্ঞানিক চিন্তার যে ভিত্তি তাকে এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। "রজতশুভ্রের উল্লেখ করা অথর্ববেদের ষষ্ঠ কাণ্ডের তৃতীয় অনুবাকের তিন নম্বর সূক্তটির আলোচনা অনেকের কাছে খুব যে একটা আগ্রহী আলোচনা হবে, এমন নয় l বেদের এই অংশটি ডাক্তারবাবুদের ভালো লাগতেই পারে l সবার নয় l তবে সক্কলের একটা বিষয় ভালো লাগবেই লাগবে, তা হোলো, বেদের মধ্যেও এতো ডাক্তারী কথা আছে ! এর আগে আমার classmate এর লেখা মহাভারতের অন্তর্নিহিত মনস্তত্ব, বা আর এক শ্রদ্ধেয় ভাইয়ের লেখা (১০-ই অক্টোবর ১৯-৫৬মিঃ বা ১৩-ই অক্টোবর, ২১টা ৫৬ মিঃ), বা অনুরূপ বেশ কয়েক বিদগ্ধজনের বিজ্ঞান-মনস্ক লেখা আমাকে সুগভীরভাবে প্রভাবিত করেছে l অবাক হই এই কথা ভেবে যে, তথাকথিত ধর্মপুস্তক বলে যেগুলিকে জানি সেগুলির মধ্যে এতো সুগভীর বিজ্ঞান-চেতনা আছেl রজতশুভ্রের লেখার জের টেনে বর্তমান এই সংযোজন-টুকু অনুরূপ ভাবনা থেকেই লিখছি l উদ্দেশ্য একটাই l যদি এমন কাউকে বা কয়েকজনকে পাই, যে বা যারা আমাদের বেদ-বেদান্তের, এই সব পূজা-জপ-ধ্যানের, বিভিন্ন শাস্ত্রের বিভিন্ন Observation গুলোর বা সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে নিহিত এই বিজ্ঞান-ধারাকে আমায় মনন করতে সাহায্য করেl খুঁজেছি অনেক। অনেক Group-এ l অজস্র সংস্থা, Club, Group তাদের নিজস্ব অজস্র Newsletter পরিচালনা করে l দেখেওছি l অজস্র Newsletter সময় করে download করতে, করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি l তাঁদের ঐ সব লেখায় এই যে শাস্ত্রাদির মধ্যে নিহিত সনাতন বিজ্ঞান, তার দেখা খুব কমই মিলেছে l দুর্ভাগ্য আমারই ! শেষে হতাশ হয়েছি l দেখি, হয় কপালে বইগুলো ঠোকে আর "আহা রে বাহা রে" করে l ওটাকেই নিজের মতো করে (মানে, subjectly, not at all objectly) হয় "বিজ্ঞান" নামে, নয় "ধম্মো" বলে ঢাক পেটায় l অথবা, "আরে মশায়, এ সব তো 'opium of the people' " বলে নাক সিঁটকায় l গণতন্ত্রের দেশ তো l বাক্-স্বাধীনতা বলে কথা ! মানে মানে কেটে পড়ি l "আমার মনের মানুষ একদম পাই নি" -- কখনো বলবো না l যা দু-এক জন মানুষকে (তাঁদিকে 'মহামানব'-ই বলতে ইচ্ছে করে) পেয়েছি, তাতে এই পাওয়ার লোভটা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে l যেমন, স্বামী রঙ্গনাথানন্দ l গোলপার্কের Calcutta Culture-এ তাঁর বক্তৃতা আছে শুনলে পুলিশে আমার উপরওয়ালাকে পাঁচ শো গন্ডা মিথ্যে কথা বলেও ছুটতাম l দু-একটা বই পেয়েছি l যেমন, Dr. সুহৃৎ দে-র "জগৎ ব্রহ্মময়" l লোভটা আরও আরও বেড়ে গেছে l পরে আর পেলাম কই ! বছরের পর বছর এই জাতীয় বই, Group, Club, Newsletter খুঁজেই চলেছি l দুটো উদাহরণ দিয়ে আমার "কামনা-বাসনা"-টা express করছি l গীতায় জন্মান্তরের কথা আছে l এটা Hindu School of Thought বললে অত্যুক্তি হবে না l ইসলাম ধর্মে নেই l Christian-দের বললে চটে যাবে l ইহুদীদের অনুরূপ reaction. তাহলে objectively সত্যিটা কী ? শ্রীকৃষ্ণ কি অর্জুনের সামনে আবেগে ভেসে বক্ বক্ করলেন ? বহু বছর এই প্রশ্নটা মাথায় নিয়ে হঠাৎ Tokyo University-র একটা উল্লেখ পেলাম, একটা তিন বছরের বাচ্চা ভালো Chinese বলে l জাপানী পরিবারে জন্মে চীনা ভাষা শেখার কোনো সুযোগ তো তার নেইই; তাছাড়া ওর বয়স তো তিন বছর l আগের জন্মের গল্প গড় গড় করে বলে চলেছে l কোলকাতা University-ও তাদের Psychiatry department-এ দোলনচাঁপা নামের একটি মেয়েকে পেলো যে আগের জন্মে পুরুষ শরীর নিয়ে বর্ধমান জেলায় ছিল l আমি আনন্দের চোটে তিনটে মুরগির ঠ্যাং আর ২৮-টাকার মিষ্টি খেয়েই নিলাম l জন্মান্তর-বাদ সত্যি, সত্যি এবং সত্যি l আরও একটা উদাহরণ না দিলেই নয় l ১৯৬৪ বা ৬৫ l শ্রদ্ধেয় দক্ষিণাদা অংকের class-এ ঢুকলেন l সকলেই বায়না ধরলাম, আজ scheduled ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না l দক্ষিণাদা বায়নাটা মেনে নিলেন l তাঁর শর্ত হল, উনি black board-এ চারটি simple যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ দেবেন, সঠিক উত্তর দিতে হবে l উনি নীচে নীচে চারটে অঙ্ক লিখলেন l Infinity + Infinity = ? ; Infinity - Infinity = ? ; Infinity x Infinity = ? ; Infinity / Infinity = ? অনেক কথার পর জানা গেলো এর সব কয়টার উত্তর একই l Infinity- অনন্ত l বহু বছর ধরে এমন আর একটা problem মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল l ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে l পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে ll --- মানে কী ? উপরের ওই বইটিতে Mathematician, Applied Math.-এর আমেরিকা তথা ইউরোপ জুড়ে নাম ডঃ সুহৃৎ দে লিখলেন, "ঐ পূর্ণটি একটি অসীম, অদৃশ্য পূর্ণ l" (ঐ, পৃষ্ঠা ৮৩) ভেবে পাই না, এই বই কি শুধু ধর্মগ্রন্থ stamp মেরে ঠকঠকাঠক করে বইটিতে Mathematician, Applied Math.-এর আমেরিকা তথা ইউরোপ জুড়ে নাম ডঃ সুহৃৎ দে লিখলেন, "ঐ পূর্ণটি একটি অসীম, অদৃশ্য পূর্ণ l" (ঐ, পৃষ্ঠা ৮৩) ভেবে পাই না, এই বই কি শুধু ধর্মগ্রন্থ stamp মেরে ঠকঠকাঠক করে কপালে ঠোকার বস্তু ? না, "বৃহৎ বিজ্ঞান গ্রন্থ" ? আমি সকলের কাছে, আমাদের শাস্ত্রে তথা বাহ্যিক ধর্মাচরণে যে যে কল্যাণকর বিজ্ঞান-ভাবনাগুলি আছে, সেগুলি প্রকাশের অনুরোধ করি l" এইযে আমরা মানুষরা এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছি পৃথিবীতে, আমাদের শরীরটা যেভাবে তৈরি, তার একটা বৈজ্ঞানিক গঠন আছে । ছন্দ আছে। আমাদের চারপাশের যে পরিমণ্ডল তারও একটা বৈজ্ঞানিক ছন্দ আছে । আমরা যদি ঈশ্বরকে নাও মানি আমাদেরকে এই ছন্দের কাছে পরাজয় স্বীকার করতেই হবে।এটাই আইনস্টাইনও মেনেছিলেন ।ইউনিভার্স এর মধ্যে যে ছন্দ, দেহের এই কোষের মধ্যে যে ছন্দ রয়েছে , এই দিনটার যে ছন্দ আছে, সেরকম অন্তর্জগতের ভেতরের যে জগত, তারও নানা রকমের সুন্দর ছন্দ আছে। এই ছন্দ সেই পরমেশ্বরের পরম প্রকাশ। শরীরের ভেতরের যে গঠন তার অনু পরমাণু , পরমানু থেকেও ছোট ছোট মেসন‌ পার্টিকেল এবং আরো ছোট ছোট বোসন পার্টিকেল ইত্যাদিতেও সেই ছন্দের বিন্যাস। তাই ভালো লেগেছে ভেতরে আর বাইরে।বাইরের একটা জগত যা আকাশের চেয়ে বড় হয়ে একদম মহাকাশে মিলিয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে এই মানুষরূপী শরীরটা নিয়ে আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর কিছু বুঝি না বুঝি, জন্মান্তর, মৃত্যুর পরে কিছু থাকবে কিনা, তার উত্তর না দিয়ে আমি যদি বলি এখন তো আমি আছি এবং পাশাপাশি আমি দেখতে পাচ্ছি আমি একা নই আমার মত আরো মানুষ গাছে , আমার মত অনেক প্রাণী আছে, গরু ছাগল হাঁস মুরগি , অনেক জড়পদার্থ ও রয়েছে। তার পাশে তো আমি আছি। এটা তো সত্যি ।ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য আমির ভেতরে তার মানে একটা সত্ত্বাকে নিয়ে যে 'আমি' তাকে যদি আমি একটা 'নিজস্ব সত্ত্বা' ভাবি, যদি ভাবি এই পরিমণ্ডলে আমি এবং আমরা আছি, তখন মহাবিশ্ব থেকে এই বিশ্ব , বাইরেরও ভেতরের সমস্ত কেন্দ্রটা নিজের দিকে টেনে আসে, চোখ বন্ধ করে যদি এটুকু ধ্যান করা যায় ( আমি সারাবিশ্ব পরিমণ্ডলের একদিকে , আরেকদিকে অনু পরমাণুর মধ্যেখানে আমি ),তাহলে ধ্যান কেন্দ্রস্থ হয়। ) এই পথে সাধনা করে যারা উন্নত হয়েছে তাদেরকে আমরা বলি 'মহৎ'। শুধু মানুষ নন। কারণ তারা জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন মানুষের সেবায় এবং তাদের চিন্তা তে ভরে গেছে প্রেম আর ভালোবাসা । কিন্তু তার পথটা এই 'অন্তর উপলব্ধির' মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। এই 'অন্তর উপলব্ধিতে' একটা নতুন জগতের তৈরি সৃষ্টি হয় একে বলা হয় 'মহা মানুষের জগৎ'। 'মহৎলোক'। এই মহৎলোকে যারা সাধনা করেন, তপস্যা করেন,ত্যাগ করেন এবং সংসারের জন্য কল্যাণ কামনা করেন তার স্পন্দন থেকে, সত্তা থেকে জ্যোতি থেকে, উর্যা থেকে যে জগৎ সৃষ্টি হয়, তা 'তপো লোক'। একজন মানুষের সৃষ্টি নয় ,অনেক জনের। তাই বহু মহৎ জন এ লোকে আছে, তাই তাকে বলা হয় 'জনলোক'। তাহলে কি হলো? মহতের দ্বারা একটা সৃষ্টি এবং তারা যেটা করছেন -তপস্যা, তাই সত্য। সেটা হল তাদের বহু সাধনার ধন। সেই 'সত্যি'ই তো লোকদেরকে ধরে আছে। সত্যকে সত্য ধরে আছে। তার মধ্যে জারিত হচ্ছে শৃংখলাবদ্ধ জীব। শৃংখলাবদ্ধ সেই আচরণকে বলে ধর্ম যা ছন্দময়। ছন্দের কিরন চন্দ্রে, ছন্দের অমৃত যখন সূর্য উঠছে সূর্য ডুবছে , সকালবেলা পাখিরা তারা তাদের নীড় ছেড়ে বেরোচ্ছে, সন্ধ্যেবেলায় তারা কুলে যাচ্ছে,-সব জায়গাতেই সেই ছন্দের আবর্তন। আবর্তনের অমৃত। এর মধ্যে নিজেকে ফেলার নামই হচ্ছে ছোট থেকে বড় হয়ে যাওয়া । যে এসব না জেনে ঘুরছে সে পশু আর যে জেনে ঘুরছে সে আনন্দময় দেবতা। এখানে কিন্তু কোন জাত পাতের গণ্ডি নেই। দেশের গণ্ডি গণ্ডি নেই । হাতটা খুলে দুদিকে প্রসার করে যদি আমরা আকাশের নিচে দাঁড়াই, তখন শুধু একটাই সত্যি- আমি, পৃথিবীর আর মাথায় আকাশ। আমি আমার চোখে যা দেখতে পাচ্ছি, যা অনুভব করছি- আলো,বাতাস ,সমুদ্র, এই মাঠ, গাছপালা তা শুধু আমার একার নয়। এ সমস্ত আমার পাশের মানুষেরও এবং যে প্রাণী মন্ডল আছে তাদেরও । এই সাম্যের সুরে এখানে সবার সমান অধিকার। এই যে মহৎ লোকের ধ্যানমন্ডল , বাণী মন্ডল এটি ঘেরা মানুষ দিয়ে। মহৎ মন্ডল আছে মানুষ মন্ডল এর ভেতরে। এই মানুষ কাদের দ্বারা পরিব্যাপ্ত না প্রাণী মন্ডল দিয়ে। প্রাণী মন্ডল ঘেরা আছে উদ্ভিদ মন্ডল দিয়ে। উদ্ভিদ মন্ডল ঘেরা আছে জলবায়ু এবং পৃথিবী মন্ডল দিয়ে। পৃথিবী মন্ডল ঘেরা আছে সৌরমন্ডল দিয়ে। সৌরমণ্ডল ঘেরা আছে নক্ষত্রমন্ডল দিয়ে ।নক্ষত্রমণ্ডলী মহাবিশ্বে আমাদের নিয়ে যায়। এইযে চক্রাকার বিরাট পরিধি একেই দেবতা হিসেবে পুজো করা যায়। ইনিই সেই বিরাট দেবতা। যা কল্পনা নয় যা বাস্তব। বিদ্যমান। কোন অবিশ্বাসী কি এটা অস্বীকার করতে পারে? সুতরাং এরই ধ্যান করা উচিত। প্রাণীদের মধ্যে কোন প্রাণীর দুধ আমরা খেয়ে বেঁচে থাকি ? গরু। তাই গরুকে আমরা মা বলি। তাই গরুকে রক্ষার জন্য সবসময় প্রাণটা আমাদের কেঁদে ওঠে। যে আমাদের দুধ দিচ্ছে তার মাংসটা নাইবা খেলাম। ত্যাগে দেবতা হয়। আর ভোগে পশু। ভুলে গেলে চলবে না মানুষও এক ধরনের প্রাণী। একটা পশুর গুণ মানুষের মধ্যে যখন প্রকাশ পায়, তখন পশুগুলো জেগে ওঠে । খুন ,ধর্ষণ, মিথ্যে কথা বলা- এগুলো সবই নিজের লালসার প্রকাশ। পশুর মধ্যে যা হয় । আহার নিদ্রা মৈথুনের জন্য তাদের দিনরাত ছুটে চলা, এগুলো পশুর গুণ। এই পশুর থেকেও মানুষ নিকৃষ্ট যখন সে পশুতে পরিণত হয় কারণ তার একটা বুদ্ধি সত্তা আছে। পশু কিন্তু নির্লজ্জ হলেও একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। মানুষের নিয়মটা নেই, তাই পশুতে পরিণত হয়। আর যদি সে মানুষ থাকে বা যদি তার ভেতর দেবতার প্রকাশ হয় তখন সেই হয়ে যায় উৎকৃষ্ট। আগে ত্যাগ ,সংযম ,বৈরাগ্য তারপর প্রেম ,প্রীতি ও ভালোবাসা । ভুলে গেলে চলবে না মানুষ স্বভাবত একটা পশু যার মধ্যে একজন দেবতা আছে। তাকে জাগিয়ে তোলাটাই আমাদের ধর্ম। প্রাণীদের যে ধারণ করে আছে, সেই জীবকুল যার অক্সিজেন নিয়ে আমরা বেঁচে আছি তারা হল গাছ। বৃক্ষ লক্ষ লোককে লালন করে মাটির পৃথিবীতে। পৃথিবী একটা গ্রহ। সৌর লোকে আছে। কিন্তু এখানে আছে অক্সিজেন। এখানে আছে জল। তাই আছে প্রাণ। এই অক্সিজেন তৈরি হলো কিভাবে? কোথা থেকে এলো এতো অক্সিজেন? এসব নিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রশ্নের অন্ত নেই। কিন্তু দর্শনও এ প্রশ্ন করে। তার উত্তর দেয়। যখন সূর্য গ্রহ নক্ষত্র ভেতরে সূর্যের অস্তিত্ব ছিল না তখন ছিল বায়ু আকারে সমস্ত মৌলিক পদার্থ। এরই ভেতর থেকে আগুনের সংযোগে সৃষ্টি হয়েছে অক্সিজেন সেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ ঘোড়ার মত হয়ে ছুটে এসেছে পৃথিবীতে। তাই তার বেদে নাম মাতরিশ্বা। এ অশ্ব মায়ের মত জন্ম দিয়েছে অক্সিজেন ও জলের। তাই তিনি মাতরিশ্বা। এই মাতরিশ্বাই অক্সিজেন ও জল সৃষ্টির কারণ। এটাই বেদের উত্তর। সূর্য থেকে পৃথিবী এমন একটা দূরত্বে আছে যেখানে তার উষ্ণতা পৃথিবীর জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।সূর্যের যদিও অনেক গ্রহ আছে কিন্তু প্রাণ আছে এই পৃথিবীতে। এ যেন সূর্যেরই আত্মার জীবন্ত হয়ে ওঠা। তাই পৃথিবীতে এই অভিব্যক্তি। আর সূর্য যে গ্যালাক্সিতে আছে এরকম অনেক গ্যালাক্সি হয়তো আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রাণ কিন্তু এখানেই। এই পৃথিবীতেই। সুতরাং যতই আমরা অস্বীকার করি ,সেই আত্মার এই অভিব্যক্তি এই বিরাট থেকে আস্তে আস্তে মানুষে পরিণত হওয়ায়। এই অভিব্যক্তি প্রমাণ করে পরমেশ্বরের অস্তিত্বের। যা সবসময়ই বিদ্যমান। তাই তিনি 'সৎ'।এবং আমার চেতনা, মানুষের চেতনা প্রমাণ করে তিনি জীবন্ত। বুদ্ধিমত্তা প্রমাণ করে তিনি 'চৈতন্যময়'। আমাদের আনন্দের লালসা প্রমাণ করে তিনি 'আনন্দময়'। আর মহা মানুষরা প্রমাণ করে ভোগ নয় ত্যাগ এবং বৈরাগ্য দিয়েই নিজেকে বড় করা যায়। আর সেই 'বিরাট বড়'র সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। এইযে বেদের বিজ্ঞান একেই শ্রী রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ ঘরে ঘরে পৌঁছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। এই হল 'প্র্যাকটিক্যাল বেদান্ত'। সংসারে যেখানে নিজের আবর্তনে নিজে থেকেও দুঃখ কষ্ট না পেয়েও 'আনন্দে' বহু কাজ করা যায়।তাই 'সেবা'। তাই 'পুজো'। 'বিরাটের'। 'রাজরাজেশ্বরের'। তাই জীবনের লক্ষ্য। সার্থকতা।।

Friday, August 5, 2022

💐🧘🙏🏵️ হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসে র সোমবার এ শিবের ব্রত পালন করা হয় কেন?🙏🏵️🧘 কলমে --রাখী মুখোপাধ্যায়। 🏵️🌿🙏 হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাস হলো একটি অতি পবিত্র মাস।এই মাসে অন্য দেবদেবীর পূজার পাশাপাশি দেবাদিদেব মহাদেবের পূজো ও ব্রত পালন করা হয়।এই মাসে ই শিব সমুদ্রমন্হন থেকে উঠে আসা বিষ পান করে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন। তাঁর শরীরের সমস্ত বিষের জ্বালা মেটানোর জন্য সমস্ত দেবতারা তাঁর মাথায় গঙ্গাজল ঢালতে শুরু করেছিলেন। অপর একটি প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী সতীর দেহত্যাগের পর পার্বতী রূপে গিরিরাজ হিমালয়ের কন্যা সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।শিবকে পতি হিসেবে পাবার জন্য পার্বতী কঠোর সাধনা করে শিবকে তুষ্ট করে পতি হিসেবে পান।এই মাসেই শিব পার্বতীর পুনর্মিলন হয়েছিল বলে এইমাস খুব পবিত্র। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়,শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের ব্রত করলেন তিনি প্রসন্ন হয়ে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ করেন। অবিবাহিত মহিলা রা সোমবার শিবের ব্রত করলে তাঁর কৃপায় পছন্দমতো জীবনসঙ্গী পান বলে বিশ্বাস।এই ব্রত করলে ভক্তের সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। পাশাপাশি সে জীবন-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়।সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর হয় এবং জীবনের আটকে যাওয়া কাজ সহজ হয়। বিবাহিত মহিলা রা শ্রাবণ সোমবার এর ব্রত করেন ও শিবের কাছে সৌভাগ্য প্রার্থনা করেন। এই মাসে বেশি করে ভগবানের নাম শুনলে,শিব পূজো করলে, নিরামিষ আহার করলে মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ভাব এর সঞ্চার হয়, মানুষের আত্মার বিকাশ ঘটে। শিবের কৃপা পেতে এই মাসে ভক্তরা শিবকে গঙ্গাজল,দুধ,দৈ,ঘি,মধু দিয়ে স্নান করিয়ে শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল অর্পন করে।ফল, মিষ্টি ভোগ দিয়ে ব্রত পালন করলে শিব তুষ্ট হন ও ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ করেন বলে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস ‌‌🙏🏵️🌿🧘

Friday, July 8, 2022

🌄🛕হিন্দু শাস্ত্রে ওম্ এর অর্থ, ব্যবহার ও তার ফল🌄🛕

 


 🙏🛕🌄হিন্দুশাস্ত্রে ওঁম্ শব্দের অর্থ,ব্যবহার ও তার ফলাফল।🙏🛕🌄 

হিন্দু ধর্মে হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনো কার্যের শুরুতে,মন্ত্র উচ্চারণে ওঁ শব্দ ব্যবহার করা হয়।ওঁ শব্দ এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'অব'ধাতু থেকে।এর ১৯ টি ভিন্ন অর্থ আছে।ওঁ হলো সকল ব্রহ্মান্ডের শাসনকর্তা।যা সর্বজ্ঞ।অমঙ্গল থেকে রক্ষাকর্তা,ভক্তবাঞ্ছাপূর্ণকারী,অজ্ঞাননাশক,ও জ্ঞানপ্রদানকারী।স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,ওঁ হল সমগ্র ব্রহ্মান্ডের প্রতীক ও ঈশ্বরের প্রতীক।শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন --ওঁ থেকে ওঁ শিব,ওঁ কালী,ওঁ কৃষ্ণ হয়েছে।ওঁ কার বৌদ্ধ ও জৈনদের ও পবিত্র প্রতীক। ওঁকার হলো তিনটি মাত্রাযুক্ত।'অ 'কার হলো আপ্তি বা আদিমত্ত্ব অর্থাৎ আরম্ভের প্রতীক।'উ 'কার হলো উৎকর্ষ বা অভেদত্ব র প্রতীক।'ম'কার হলো মিতি বা লয়ের প্রতীক। বেদ,উপনিষদ,গীতা ও অন্যান্য হিন্দু শাস্ত্রে ওঁকার এর ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলা আছে ওঁকার এর ঈশ্বরিক অর্থ হলো সৃষ্টি,স্হিতি,বিনাশ।এই তিন কার্য সম্পন্ন করবার জন্য তিন দেবতার সৃষ্টি হয়েছে।এঁরা হলেন,ব্রহ্মা,বিষ্ণু, মহেশ্বর।তাই অ, উ,ম এই তিন অক্ষর তিন দেবতার পরিচয়। ওঁ উচ্চারণ করলে শারীরিক,ও মানসিক শক্তির সৃষ্টি হয়।মনে একাগ্রতা আসে।🙏 কলমে-- রাখী মুখোপাধ্যায়

Friday, June 17, 2022

হিন্দু ধর্মে মেয়েরা উলুধ্বনি দেয় কেন? কিভাবে উলুধ্বনি সৃষ্টি হল?

 


 

কলমে--রাখীুখোপাধ্যায়।

উলুধ্বনি হল জিহ্বা কম্পনের ফলে সৃষ্ট উচ্চগ্রামের ভোকাল সাউন্ড।যার উৎপত্তি হয়েছিল মধ্যযুগে। উলুধ্বনি হল বাংলা,আসাম,ও ওড়িশ্যার একটি ধর্মীয় সামাজিক প্রথা। হিন্দু মহিলারা,পূজা, বিবাহ,ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও উৎসবে মুখে উলুধ্বনি উচ্চারণ করেন।এটিকে উৎসব ও সমৃদ্ধি র প্রতীক বলা হয়। উলুধ্বনি হলো ওং কার ধ্বনি। বৈষ্ণব মতে,'উ'হলো রাধা।'লু'হল কৃষ্ণ।তাই উলুধ্বনি দ্বারা দুই যুগলকে অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণ কে স্মরণ করি। প্রাচীনকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বা কারো ঘরে বিপদের সময় মেয়েরা উলুধ্বনি দিয়ে বিপদের সংকেত দিত।

Sunday, June 12, 2022

AMBUBACHI,DAKSHIN AYAN and Sankranti

Karka Sankranti : July 16, marks the transition of the Sun into Karka rashi (Cancer). This also marks the end of the six-month Uttarayana period of Hindu calendar, and the beginning of Dakshinayana, which itself end at Makar Sankranti.[1] Mithuna Sankranti: celebrated as annual menstruating phase of Mother Earth as Raja Parba or Ambubachi Mela in Eastern and North Eastern provinces of India. in the sidereal solar Bengali calendar and Assamese calendar, a Sankranti is marked as the end of each month and the day following as the beginning of a new month. source : https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sankranti https://books.google.co.in/books?id=5kl0DYIjUPgC&pg=PA351&redir_esc=y

Sunday, May 29, 2022

🌺🌺🙏ফলহারিণী কালিপূজো কেন করা হয়?ফলহারিণী কালী পূজোর মানে কি?,🙏🌺🌺

,🙏🌺🌺ফলহারিণী কালী পূজো কেন করা হয়?এই পূজো র অর্থ কি?,🙏🌺🌺 কলমে-রাখী মুখোপাধ্যায়। 🌺প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিকে ফলহারিণী অমাবস্যা বলে।এই মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী র অমাবস্যা তিথিতে মা কালীকে পূজা করে ফলদান করার রীতি আছে। এই পূজা করলে পূজারীর আরোগ্য ঐশ্চর্য, অর্থভাগ্য,গৌরব,কর্ম,বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফলপ্রাপ্ত হয়।জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি লাভ হয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী জগতের সৃষ্টি,স্হিতি,প্রলয়ের কত্রী হলেন চৈতন্যরূপী কালী।এই কালী আবার জীবের কর্মফল দানকারী।মহাকালী একাধারে ভয়ঙ্করী, অন্য দিকে পরম করুণাময়ী। , ‌‌‌‌‌১২৮০বঙ্গাব্দে জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী কালীপূজার দিনে শ্রী শ্রী মা সারদাকে ষোড়শী (ত্রিপুরাসুন্দরী)রূপে পূজো করেছিলেন বলে আজ ও রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই পূজো ষোড়শী পূজা নামে খ্যাত। ফলহারিণী কালী কথার অর্থ হল,যিনি আমাদের কর্মফল হরণ করে,মোক্ষ প্রদান করেন। এবং সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করেন। ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ পূজারীর মনের যে কোনো মনের কামনা পূরণ করতে মা কালী র মন্দিরে পাঁচটি ফল দিয়ে পূজো দেওয়া হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়।মা বা মাতৃস্হানীয়া যে কোনো মহিলাকে ৫টি গোটা ফল দিয়ে প্রনাম করে আশীর্বাদ নিলে পূণ্য অর্জন করা হয়।মা কালীকে ফলহারিণী পূজার দিনে ক্ষীরের মিষ্টি দিয়ে পূজো করলে পূণ্য হয়।এই পূজোয় মায়ের পূজোর কাছে বা মায়ের মন্দিরে সরষের তেলের প্রদীপ অর্পণ করলে পূজারীর উপর থেকে অশুভ শক্তির প্রভাব দূরীভূত হয়। জয় মা ফলহারিণী কালী,সকলের মঙ্গল করো মা।🙏🌺🙏🌺🙏🌺🙏🌺🙏🌺

Friday, April 29, 2022

🐚 আমরা শঙ্খ বাজাই কেন? বাজানোর উপকারী তা কি? কলমে_রাখী মুখোপাধ্যায়🐚


 

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ শঙ্খ হলো বড়ো আকৃতির সামুদ্রিক শামুক‌।এর খোল দিয়ে অলঙ্কার,বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হয়। শাঁখ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ শঙ্খম থেকে। ঃঃ যে কোন পূজোয়, কোনো শুভ কাজে শাঁখ অবশ্যই বাজানো হয়। ভগবান বিষ্ণু, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কৃষ্ণ,বালাজি, গণেশ,মা দুর্গা র হাতে শাঁখ থাকে।শাঁখ বাজানোর সময় শাঁখ থেকে। ওম্ ‍শব্দটি বেরিয়ে আসে।শঙ্খ তিনবার বাজাতে হয়।কারণ,ব্রহ্মা ,বিষ্ণু, মহেশ্বর,এই তিন দেবতার সঙ্গে সমগ্র দেবদেবীরা আমন্ত্রিত হন। আগেকার দিনে শাঁখ বাজিয়ে যুদ্ধ শুরু হতো।গৃহস্হের বাড়িতে কোন বিপদ-আপদ হলে শাঁখ বাজিয়ে প্রতিবেশীদের জানানো হতো। উপকারিতা--শাঁখ বাজালে আমাদের মনের শুভ শক্তি নির্গত হয়।যেমন--সাহস,দৃঢ়তা,আশা,ও ইচ্ছাশক্তি। এটি বাজালে ঘরের নেগেটিভ এনার্জি দূরে চলে যায়। পজেটিভ এনার্জি র সঞ্চার হয়। ত্বক উজ্জ্বল হয়। মুখের বলিরেখা কমে যায়। শাঁখ বাজালে হার্ট ভালো থাকে। বাড়িতে শাঁখ থাকলে অর্থ,প্রতিপত্তি ও সমৃদ্ধি আসে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। শাঁখ বাজালে নারায়ণ ও লক্ষ্মীদেবী এবং সমগ্র দেবদেবী প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস। শাঁখ বাজান, ভালো থাকুন ।। 🙏

Thursday, April 28, 2022

The Motivational Speech of Bharat Mata

https://fb.watch/cH6iRbo7mo/

Friday, March 18, 2022

Books of Gertrude Emerson Sen (গ্যাট্রুড এমারসন সেনের অমূল্য বইগুলি)

 


 

1. VOICELESS INDIA 2. Cultural Unity of India. 3. The Pageant of Indian History আমেরিকান। বিখ্যাত বিজ্ঞানী বশীশ্বর সেনের সহধর্মিনী। আদ্যপান্ত ভারতীয়। পাশ্চাত্য ও বিজ্ঞানের গৌরব হেলায় ফেলে এলেন এ মহিয়সী। এক স়ংগ্রামী বিজ্ঞান সাধকের সেবাব্রত রুপ কর্মযোগ অবলম্বন করলেন। যেন বৈদিক যুগের এক যোগিনী। তিনি গাট্রুড এমারসন। না। গাট্রূড সেন। বঙ্গের বিষ্ণুপুর এর এক গৃহবধু।

Monday, February 28, 2022

মহাশিবরাত্রি ব্রত পালন করা হয় কেন?🙏🍊🍉🍊🍎💐,

🍎🙏মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করা কেন?,🍎🍊💐🙏 কলমে--রাখী মুখোপাধ্যায় ফাল্গুনকৃষ্ণ চতু্র্দশ্যামাদিদেবো মহানিশি। শিবলিঙ্গ তয়োদ্ভূতঃ কোটিসূর্য সমপ্রভ।। হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের আদি দেব হলেন মহাদেব।ঈশান সংহিতায়,ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে শিব আবির্ভূত হন।তাই এই দিনকে মহাশিবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। শিবরাত্রি যমরাজের শাসন ধ্বংস ক'রে শিবলোকের পথে নিয়ে যায়।এই ব্রত পালন করলে মহাদেবের কৃপায় পাপ ও দোষ হয় না। লৌকিক আচার অনুূযায়ী এই ব্রত অবিবাহিত মেয়েরা শিবের মতো বর প্রাপ্ত করে,এই ব্রত পালন করলে ও রাত্রি জাগরণ করলে মহাদেবের কৃপায় মোক্ষলাভ হয়,পাপ ও ভয়মুক্ত হয়। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে চন্দ্র সূর্যের কাছে থাকে,সেই সম জীবন রূপী চন্দ্রের শিবরূপী সূর্যের সঙ্গে মিলন ঘটে।এই দিনে মহাদেব নিরাকার থেকে সাকার রূপে অবতরিত হয়েছিলেন।এই অবতরণের রাত্রি মহাশিবরাত্রি নামে খ‍্যাত। এই ব্রত পালনের ফলে পরম সুখ,ঐশ্বর্য, শান্তি, মনোস্কামনা লাভ করা যায়।পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দিনে অগ্নি শিবলিঙ্গ হিসাবে প্রকট হয়েছিলেন মহাদেব ৬৪টি স্হানে শিবলিঙ্গ প্রকট হয়,তার মধ্যে শুধুমাত্র ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের নাম জানা যায়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এই দিন শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল।এই দিন ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে শিবের মাথায় ডাবের জল,দুধ,গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করায়, আকন্দ ,ধুতরো,ও অন্যান্য ফুল ,বেলপাতা অর্পন করে।ধূপ ,দীপ জ্বালিয়ে আরতি করে।ও ফল মিষ্টান্ন ভোগ দেয়।এই শিবরাত্রি ব্রত কথা পাঠ করে(ব্যাধ ও মহাদেবের গল্প)।চার প্রহর ধরে শিবলিঙ্গের পূজো করা হয় এই দিনে। সারারাত ধরে চলে এই পূজো।ব্রতীরা পূজো সমাপন করে ফলপ্রসাদ ও খাদ্য গ্রহণ করে। ভারতবর্ষে এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী রা খুব সমারোহে মহাশিবরাত্রি বা শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে থাকে।। শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে, নিবেদয়ামি চান্মাত্যং ত্বং গতি পরমেশ্বরঃ।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

Featured Posts

প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অপারেশন পদ্ধতি

(ভিত্তি: সুশ্রুত সংহিতা, চরক সংহিতা এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রন্থ) প্রাচীন ভারত ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রগণ্য। প্রাচীন চিকিৎস...

Popular Posts