🍎🙏মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করা কেন?,🍎🍊💐🙏
কলমে--রাখী মুখোপাধ্যায়
ফাল্গুনকৃষ্ণ চতু্র্দশ্যামাদিদেবো মহানিশি।
শিবলিঙ্গ তয়োদ্ভূতঃ কোটিসূর্য সমপ্রভ।।
হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের আদি দেব হলেন মহাদেব।ঈশান সংহিতায়,ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে শিব আবির্ভূত হন।তাই এই দিনকে মহাশিবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। শিবরাত্রি যমরাজের শাসন ধ্বংস ক'রে শিবলোকের পথে নিয়ে যায়।এই ব্রত পালন করলে মহাদেবের কৃপায় পাপ ও দোষ হয় না। লৌকিক আচার অনুূযায়ী এই ব্রত অবিবাহিত মেয়েরা শিবের মতো বর প্রাপ্ত করে,এই ব্রত পালন করলে ও রাত্রি জাগরণ করলে মহাদেবের কৃপায় মোক্ষলাভ হয়,পাপ ও ভয়মুক্ত হয়।
ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে চন্দ্র সূর্যের কাছে থাকে,সেই সম জীবন রূপী চন্দ্রের শিবরূপী সূর্যের সঙ্গে মিলন ঘটে।এই দিনে মহাদেব নিরাকার থেকে সাকার রূপে অবতরিত হয়েছিলেন।এই অবতরণের রাত্রি মহাশিবরাত্রি নামে খ্যাত।
এই ব্রত পালনের ফলে পরম সুখ,ঐশ্বর্য, শান্তি, মনোস্কামনা লাভ করা যায়।পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দিনে অগ্নি শিবলিঙ্গ হিসাবে প্রকট হয়েছিলেন মহাদেব
৬৪টি স্হানে শিবলিঙ্গ প্রকট হয়,তার মধ্যে শুধুমাত্র ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের নাম জানা যায়।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এই দিন শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল।এই দিন ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে শিবের মাথায় ডাবের জল,দুধ,গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করায়, আকন্দ ,ধুতরো,ও অন্যান্য ফুল ,বেলপাতা অর্পন করে।ধূপ ,দীপ জ্বালিয়ে আরতি করে।ও ফল মিষ্টান্ন ভোগ দেয়।এই শিবরাত্রি ব্রত কথা পাঠ করে(ব্যাধ ও মহাদেবের গল্প)।চার প্রহর ধরে শিবলিঙ্গের পূজো করা হয় এই দিনে। সারারাত ধরে চলে এই পূজো।ব্রতীরা পূজো সমাপন করে ফলপ্রসাদ ও খাদ্য গ্রহণ করে। ভারতবর্ষে এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী রা খুব সমারোহে মহাশিবরাত্রি বা শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে থাকে।।
শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে,
নিবেদয়ামি চান্মাত্যং ত্বং গতি পরমেশ্বরঃ।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏